
শ্রীলঙ্কার জাতীয় দৈনিক ডিভাইনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাতুরুসিংহ বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেন, ‘২০১৯ সালের মধ্যে আমি বাংলাদেশকে ১৯৯৬ সালের শ্রীলঙ্কা বানাতে চাই।’ নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে ক্রিকেট বিশ্বে অন্যরকম এক দাপুটে দল ছিল শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপও জিতে নেয় দলটি। ওয়ানডে ও টেস্ট দুই সংস্করণেই ক্রিকেট বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন তারা। এবার বাংলাদেশকে সে রকমই শক্তিশালী একটি দলে পরিণত করতে চান বাংলাদেশের বর্তমান লঙ্কান কোচ চন্দ্রিকা হাতুরুসিংহে।
হাতুরুর অধীনে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলা ছাড়াও ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলকে মাটিতে নামিয়ে আনে টাইগাররা। শুধু ওয়ানডে ক্রিকেট নয় টেস্টেও দারুণ ক্রিকেট খেলছে তারা। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষেও জয় পেয়েছে দলটি। তাই ক্রিকেট বিশ্বে হাতুরুর চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গেছে।
উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে দাপটের সঙ্গে শিরোপা জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। শুধু তাই নয় টেস্ট ক্রিকেটেও তারা অনেক পরাক্রমশালী দলে পরিণত হয়। অরবিন্দ ডি সিলভা, মুত্তিয়াহ মুরালিধরন ও সনথ জয়সুরিয়ার মত তারকা ক্রিকেটারদের সে দলটির নেতৃত্বে ছিলেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা।
আগামী ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে হাতুরুর। তবে লঙ্কান বোর্ড চাইলে তিনি শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নিতেও প্রস্তুত বলে জানান ডিভাইনাকে। বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি শেষে যোগ দিতে চান তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে শুধু কোচই নন হাতুরু নির্বাচক প্যানেলের একজন সদস্যও তিনি। এখানে এক প্রকার সর্বেসর্বাই এখন হাতুরু। এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, আমি যা চাই বিসিবি আমাকে তাই দেয়।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘরোয়া কাঠামোর পার্থক্য নিয়েও কথা বলেন হাতুরু। তার মতে স্কুল ক্রিকেট শ্রীলঙ্কায় অনেক এগিয়ে থাকলেও সিনিয়র লেবেলের ক্রিকেট বাংলাদেশেরই উন্নত। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের অবদানের কথাও উল্লেখ করেছেন হাতুরু।
‘শ্রীলঙ্কায় স্কুল ক্রিকেট উন্নত হলেও সিনিয়র লেবেলের ক্রিকেটে বাংলাদেশই এগিয়ে। বাংলাদেশে, আট দলের চার দিনের টুর্নামেন্ট ও ওয়ানডে টুর্নামেন্ট আছে। পাশাপাশি বিপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টও আছে। এর কারণে দেশের সেরা খেলোয়াড়রা গুরুত্ব পায়। গত দুই বছরে আমি তাদের উইকেটসহ ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন এনেছি।’