জাপানের জন্য ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। জিতলে বা ড্র করলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে, পোল্যান্ডের বিপক্ষে এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল এশিয়ার পরাশক্তিরা। হারলে একটাই সুযোগ ছিল, অপর ম্যাচে যদি কলম্বিয়া সেনেগালকে হারায়। সেই একটি সুযোগই কাজে লেগেছে আকিরা নিশিনোর দলের। পোল্যান্ডের কাছে ১-০ হেরেও ফেয়ার প্লে’র বদৌলতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে তারা।
ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ বোধ হয় ছিল অতিরিক্ত তিন মিনিট। এই সময়ে অদ্ভূত এক কান্ড ঘটায় দুই দল। পোল্যান্ডের জয় নিশ্চিত। জাপান এই তিন মিনিটে নিজেদের মধ্যে শুধু বল পাস দিয়ে সময় নষ্ট করেছে, পোল্যান্ডও বল নিতে চায়নি। অপর ম্যাচে সেনেগালকে ১-০ গোলে কলম্বিয়া হারানোয় ফেয়ার প্লে’তে (হলুদ কার্ড) এগিয়ে থাকা জাপানের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে ছিল। তারা সেই অপেক্ষাতেই সময় নষ্ট করে।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই দুই দল লড়েছে প্রায় সমানে সমানে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে তারা। ম্যাচের ১৩ মিনিটে জাপানের ইয়োশিনরি মুতোর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ডান পায়ের শট সহজেই ফিরিয়ে দেন পোল্যান্ড গোলরক্ষক লুকাজ ফ্যাবিয়ানস্কি। তিন মিনিট পর গোতোকু সাকাইও পরাস্ত করতে পারেননি তাকে।
৩২ মিনিটে পোল্যান্ডের বার্তোজ বেরেসজিনস্কির দারুণ এক ক্রস থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে গিয়েছিলেন কামিল গ্রোসিকি। গোল করার সুযোগ ছিল। তবে তার জোড়ালো হেড দক্ষতার সঙ্গে ফিরিয়ে দেন জাপান গোলরক্ষক আইজি কাওয়াসিমা। ৩৫ মিনিটে তাকাসি উসামির শটও একইভাবে পোল্যান্ডের জাল পায়নি। এমন সুযোগ মিস আর সেভের মধ্য দিয়েই গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে জাপানের তাকাশি ওসামির ডান পায়ের শট আটকে যায় পোল্যান্ডের রক্ষণে। ৫৮ মিনিটে বক্সের মধ্য থেকে ইয়োশিনরি মুতোও দারুণ একটি সুযোগ মিস করেন। তার শট একটুর জন্য বক্সের বাঁ পাশে রক্ষা হয়। একই মিনিটে শিবাসাকির কর্নার থেকে ছয় গজের মধ্যে বল পেয়েও সেটা জালে জড়াতে পারেননি তামোয়াকি মাতিনো।
এরপরই সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়ে বসে জাপান। ৫৯ মিনিটে রাফাল কুরজাওয়ার বক্সের বাইরে থেকে নেয়া দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে সেটা চোখের পলকে জালে জড়িয়ে দেন জ্যান বেডনারেক। মাত্র ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নামা এই সেন্টার-ব্যাকের এটি ছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম গোল।
৭৪ মিনিটে আরও এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল পোল্যান্ড। কামিল গ্রোসিকির পাস থেকে একদম বক্সের মধ্যে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার সেটা বারের উপর দিয়ে মেরে দেন। এরপরও আরও কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল পোলিশরা, কাজে লাগাতে পারেনি।