এবারও হল না। ২৫ বছর পরও দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ হাত ছাড়া হল টিম ইন্ডিয়ার। উল্টে সেঞ্চুরিয়নে দ্বিতীয় টেস্টে হেরে হোয়াইটওয়াশের মুখে বিরাটবাহিনী। সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে। আর দলের এই শোচনীয় অবস্থায় সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মেজাজ হারালেন বিরাট কোহলি।
ভারতের বর্তমান অধিনায়ক তাঁর পূর্বসূরীর মতো ঠান্ডা মাথার মানুষ নন, বরং বেশ আবেগপ্রবণ। বরং মাঠের ভিতরে ও বাইরে তাঁর আবেগ সহসা চোখে পড়ে। এদিনও তার ব্যাতিক্রম হল না। সাংবাদিক সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার এক সাংবাদিক বিরাটকে প্রশ্ন করেন, ঘনঘন পরিবর্তনের জন্যই কি ক্রিকেটাররা একজোট হয়ে খেলতে পারছেন না? প্রতিটি টেস্ট ম্যাচেই আপনি পরিবর্তন করে চলেছেন। আমার মনে হয়, কোনও একটা ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। প্রতিবার দলবদল করে অন্যরকম ফল আশা করছেন কীভাবে?
এই প্রশ্ন শুনেই পাল্টা খোঁচা দেন বিরাট। তিনি জানতে চান, শেষ ৩০টি টেস্ট ম্যাচের কতগুলি জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা? একই সঙ্গে পরিসংখ্যান শুনিয়ে দেন বিরাট। তিনি বলেন, ”এখনও পর্যন্ত ২১টা জয়, ২টো হার, আর কতগুলো ড্র?
তবে ভারতীয় অধিনায়ককে সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন সেই সাংবাদিকও। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, কতগুলি ভারতের বাইরে? এরপরই মেজাজ হারান বিরাট। ক্ষুব্ধ ভারত অধিনায়ক বলেন, ”কোথায় সেটা বড় ব্যাপার নয়। আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখানে প্রশ্নের জবাব দিতে এসেছি, আপনার সঙ্গে লড়াই করতে নয়।” তারপরই কোহলির পাল্টা বোমা, “মহাশয় ভারতে কতবার জেতার কাছাকাছি এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা? গুনে বলতে পারবেন?”
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন বিরাট কোহলি। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত এমন একটাও টেস্ট ম্যাচ হয়নি, যেখানে খেলোয়াড় তালিকায় কোনও বদল হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকায় দুটি টেস্টে অজিঙ্ক রাহানেকে বসিয়ে রোহিত শর্মাকে খেলিয়েছেন বিরাট কোহলি। অধিনায়কের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।