বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ১২ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট পেশ করেছে। এটি অর্থমন্ত্রী আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন, তার চেয়ে আড়াই গুণেরও বেশি।
বিকল্প বাজেট প্রস্তাবের ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮২০ কোটি টাকার যোগান আসবে সরকারের রাজস্ব আয় থেকে, যা মোট বাজেটের ৮১ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ৭ লাখ ২৯ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত কর ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ঘাটতি অর্থায়ন দেখানো হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত এ বাজেট পেশ করেন। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ,সহসভাপতি এ জেড এম সালেহ ও মো. আব্দুল হান্নান, কোষাধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনীতি সমিতি চতুর্থ বারের মত বিকল্প বাজেট পেশ করল। এবারের বাজেট প্রস্তাবের শিরোনাম ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বাজেট প্রস্তাবনা ২০১৮-১৯’।
প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেটে শিক্ষাখাতে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। এই বরাদ্দের ৫৮ শতাংশ অর্থ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। এরপর ২ লাখ ৫২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে,জনপ্রশাসন খাতে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬৮ হাজার কোটি, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যখাতে ৮৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা এবং সামাজিক নিরাপত্তাখাতে ৭২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়।-বাসস