ডিএমপি নিউজ : খুন হওয়ার ১৩ বছর পর সাভারের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এমপি) শামসুদ্দোহা খান মজলিশের স্ত্রী সেলিমা খান মজলিশ হত্যা মামলায় তার মেয়েসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো তাদের মেয়ে শামীমা খান মজলিশ ওরফে পপি, বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি সুবল কুমার রায় ও আরতি সরকার।
আজ মঙ্গলবার ২ জুলাই দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হেডকোয়ার্টাসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিস্তারিত তুলে ধরেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম।
তিনি বলেন, ২০১১ সালের ১৪ জুন সাভারের প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা খান মজলিশের স্ত্রী সেলিমা খান মজলিশকে তার বাসভবনে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর তার ভাই শফিকুর রহমান ১৫ জুন সাভার থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়। সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি নিষ্পত্তির পর বাদীপক্ষ মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত নামঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সালাহ উদ্দিন মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে মর্মে মামলটি পুনরুজ্জীবিত করার পুনরায় আবেদন করেন। আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।
পিবিআই প্রধান বলেন, পিবিআই মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় পিবিআইয়ের একটি টিম হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। গত ৩০ মে সাভার থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার ১৩ বছর পর সুবলকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাভার থানার ভাগলপুর এবং পাকিজা এলাকা হতে শামীমা ও আরতিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সুবল বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
হত্যার কারণ উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সুবল কুমার রায় এবং ভিকটিমের বড় মেয়ে শামীমা তাহের পপির মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি ও পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে সেলিমা খানকে খুন করা হয়।