আগামী ২০ আগস্ট ঘোষণা করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় । বৃহস্পতিবার ঢাকার ২নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম এ দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্যান্ডেলের নীচে মাটিতে ৭৬ কেজি ওজনের একটি শক্তিশালী বোমা পুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা বাসস থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
মামলায় ৮৩ জনের মধ্যে ৬৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহন এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করা হলো।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া সফর উপলক্ষে কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় একটি শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে।
পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা করেন।
২০০১ সালের ৮ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান গোপালগঞ্জের একটি আদালতে মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালে মামলাটি ঢাকার ২নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মো. মহিবুল্লাহ, মুন্সি ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান। তবে মুফতি হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।