‘মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করি, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ২১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী উদযাপিত হবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২২ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণের মাধ্যমে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২০ এর উদ্বোধন করবেন।
এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলা কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচি বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে জেলা, পার্বত্য জেলা ও উপজেলা কমিটি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির প্রথম দিনে ব্যানার, ফেস্টুনসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ সজ্জিত করা হবে। একই দিনে ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যাল ও দর্শনীয় স্থানে অবস্থিত ডিজিটাল ডিসপ্লেতে মৎস্য খাতে বাংলাদেশ সরকারের অবদান এবং অর্জন স্ক্রল ও টিভিসি আকারে প্রচার করা হবে।
দ্বিতীয় দিনে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
কর্মসূচির তৃতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন। একইদিনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পুকুর ও লেকে, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন ও ইডেন কলেজ পুকুরে এবং সাভারস্থ বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে।
এদিন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বিনামূল্যে ছোট মাছ ও বিপন্ন মাছ সংরক্ষণে হ্যাচারি মালিক ও উদ্যোক্তাদের মাঝে জার্ম-প্লাজম বিতরণ করা হবে।
পঞ্চম দিনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদ ভবনের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন। একইদিনে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মৎস্য খাতে বর্তমান সরকারের বিশেষ বিশেষ সাফল্যের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস যথাক্রমে উত্তরার লেকে ও ধানমন্ডি লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সপ্তম ও সমাপনী দিনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৎস্য অধিদপ্তর ও বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
এছাড়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহজুড়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা, মৎস্য খাতে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ বিরোধী অভিযান, মৎস্য আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মৎস্য চাষীদের মৎস্য চাষ বিষয়ে নিবিড় পরামর্শ প্রদান, চাষীদের মাঝে মৎস্যচাষের উপকরণ বিতরণসহ নানা কর্মসূচি থাকছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।