যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ২৯ পণ্যের শুল্ক আরোপ করছে ভারত। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৯ পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাজুবাদাম, আখরোট ও ডাল। মার্কিন পণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করবে দিল্লি, প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রায় এক বছর পর এটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে আজ (১৬ জুন)। ওয়াশিংটন কিছু ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। খবর: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এ শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বোঝা বাড়বে ২২ কোটি থেকে ২৯ কোটি ডলার। ২০১৮ সালের একই পরিমাণ বোঝা ভারতের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল ওয়াশিংটন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শুল্ক আরোপ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর মধ্যে বৈঠকের ১০ দিন আগে শুল্ক বাড়াল দিল্লি। মোদির নতুন সরকার গঠন করার পর এটি হতে যাচ্ছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। দিল্লির সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত মার্কিন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত সরকার।
অন্যান্য যেসব পণ্যে শুল্ক বাড়বে সেগুলো হলো লোহা ও ইস্পাত পণ্য, আপেল, নাশপাতি, স্টেইনলেস স্টিলের কিছু পণ্য, কিছু শঙ্কর ইস্পাত পণ্য, টিউব ও পাইপ ফিটিংস, স্ক্রু, বোল্ট ও রিপিট।
দেশটির বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা সরকারের এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ধর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা জবাব দিতেই হতো ভারতকে। প্রত্যাশা ছিল একটি সমাধানে পৌঁছানো যাবে, কিন্তু সেটা ঘটেনি। তবে এ শুল্ক আরোপের কারণে দেশে কাজুবাদাম ও আপেলের মতো পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, এমন অভিযোগ তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
ট্রেড প্রমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (টিপিসিআই) চেয়ারম্যান মোহিত সিঙ্গালা বলেন, ভারত শুল্ক কার্যকর করলে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানিকারকদের সুবিধা কমবে। ভারত একটি বিশাল বাজার এবং দেশটির অর্থনৈতিক ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত। জিএসপি বাতিল তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না, কেননা ভারতের রফতানিকারকরা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত।