মহাকাশ গবেষণায় ভারতের মুকুটে জুড়ল আরও এক পালক। ৩৬টি স্যাটেলাইট নিয়ে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর রকেট। এর আগে কখনো ইসরোর তরফ থেকে এত ভারী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়নি। ৫ হাজার ৭৯৬ কেজির পে-লোডের সফল উড়ানের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় নতুন ইতিহাস তৈরি করল ভারত। ইসরো-র তরফে জানানো হয়েছে, LVM3-M2/OneWeb India-1-এর উপগ্রহের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। লো আর্থ অরবিটে প্রতিস্থাপনের কাজও সম্পূর্ণ।
শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে জিওসিনক্রোনাস লঞ্চ ভেইকেল (GSLV Mk-III) এর নতুন সংস্করণ লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ উৎক্ষেপণ করা হয়। রবিবার রাত ১২টা বেজে ৭ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয় রকেটটির। জিএসএলভি এলভিএম ৩ এর ১০ টন ওজনের পেলোড ক্ষমতা থাকলেও রকেটটি ৬ টন দিয়ে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি এলভিএম-৩-এর প্রথম বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ। ওয়ানওয়েব এবং নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের (NSIL) মধ্যে একটি চুক্তিতেই লঞ্চ হল এই মিশন।
LVM3-M2 নামক রকেটটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৪৩ মিটার। এর ওজন ৬৪৪ টন, যা ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেট।এই রকেটটি জিওসিঙ্ক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে(GTO) চার টন ওজনের স্যাটেলাইট স্থাপন করতে সক্ষম। লো আর্থ অরবিটে(LEO) আট টন পেলোড বহনের ক্ষমতা রয়েছে এই রকেটের। তিন-পর্যায়ের লঞ্চিং সিস্টেমে আছে দুটি সোলিড প্রোপেলার (S200) স্ট্র্যাপ-অন।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এর আগেও একাধিকবার মহাকাশ অভিযানে সামিল হয়েছে। স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপন করেছে। এতদিন হালকা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করেছে ভারত। তবে এবার সবচেয়ে ভারী রকেটে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে আত্মনির্ভর ভারতের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এটি ছিল LVM3-এর প্রথম অভিযান।
ইসরোর চেয়ারম্যান সোমানাথ জানিয়েছেন, “ইসরোর রকেট এলভিএম৩ একটি বেসরকারী যোগাযোগ সংস্থা ওয়ানওয়েবের ৩৬ টি উপগ্রহ বহন করবে।” লঞ্চের ২৪ ঘণ্টা কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। আগামী বছরের প্রথমার্ধে এলভিএম৩ আরও ৩৬টি ওয়ানওয়েব উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে।” তবে সবচেয়ে ভারী বাণিজ্যিক রকেট GSLV Mk3 উৎক্ষেপণ করে ইতিহাসও গড়ল ভারতের এই মহাকাশ সংস্থা।– জি নিউজ