স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যুগ যুগ ধরে অন্যায়-বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে জেগে ওঠার অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাবে। ভাষণের আবেদন চিরন্তন-এ ভাষণের বাণী ম্লান হয় না, বারবারই শোনার উদ্রেক করে।
আজ সোমবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আনন্দ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় দেশ ও জাতি গর্বিত। এ স্বীকৃতি বিশ্বের বুকে আরো গৌরবের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নিঃসন্দেহে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভাষণটি সংরক্ষণের ফলে বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত সকল মানুষ এ থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস ও প্রেরণা খুঁজে পাবে।
‘জয় বাংলা-বাংলার জয়’ মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যোগানো ঐতিহাসিক এ গানের সুরে সুরে মুখরিত সমবেত জনতার উদ্দ্যেশে স্পিকার বলেন, বিজয়ের এ মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ স্মরণ করিয়ে দেয় বঙ্গবন্ধুর চৌকষ নেতৃত্বের স্মৃতি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এ ভাষণের অন্তর্নিহিত অর্থ ছিল শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের হুংকার- সর্বোপরি বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার রূপকল্প। তাই এ ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল।