ডিএমপি নিউজঃ মহেশখালীর বাকখালী নদীতে গভীর রাতে ঘন কুয়াশায় পথ হারিয়ে দিক্বিদিক ঘুরছিলো একটি নৌকা। কি করবে ভেবে পাচ্ছিলো না বিপদগ্রস্ত নৌকার যাত্রীরা। এমতাবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চান নৌকায় থাকা একজন যাত্রী। এরপর ৯৯৯ এর সহায়তায় উদ্ধার করা হয় নৌকার আটজন যাত্রীকে।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) রাত পৌণে দুইটায় কক্সবাজারের মহেশখালীর বাকখালী নদীতে ঘন কুয়াশায় দিকভ্রান্ত হয়ে দিক্বিদিক ঘুরতে থাকা নৌকার যাত্রী চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের ছাত্র শওকত ওসমান সবুজ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। তিনি জানান, তারা ৮ জন যাত্রী রাত ১০ টায় কক্সবাজারের ৬ নম্বর ঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা যোগে মহেশখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। অনুকূল আবহাওয়ায় কক্সবাজার থেকে মহেশখালী পৌঁছাতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে, এর মধ্যে ১৫ মিনিট নদীপথে বাকীটা সাগর পথে। কিন্তু তারা রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পর ঘন কুয়াশার কবলে পড়েন। এরপর দিকভ্রান্ত হয়ে দুইঘন্টা ধরে ঘুরছিলেন। তাদের নৌকার বৃদ্ধ মাঝি বুঝতে পারছিলেন না তারা নদীতে আছেন নাকি সাগরে আছেন। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে তারা একটি ভাসমান বয়া দেখতে পান। তখন তারা বুঝতে পারেন তারা এখনো বাকখালী নদীতে আছেন। তখন কোন উপায় না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে উদ্ধার সহায়তা চান। ৯৯৯-তাদেরকে সেখানে অবস্থান করতে পরামর্শ দেয়, অন্যথায় ঘন কুয়াশায় উদ্ধারকারী দলের তাদের খুঁজে পেতে সমস্যা হতে পারে।
৯৯৯-এ কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কক্সবাজার কোষ্টগার্ডে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে কক্সবাজার কোষ্টগার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল রাত সোয়া দুইটায় রওনা দেয়। পরে কক্সবাজার কোষ্টগার্ডের পেটি অফিসার নস্রুল্লাহ আরিফ ৯৯৯ কে ফোনে জানান রওনা দেয়ার পর তারাও ঘন কুয়াশার কবলে পড়েছিলেন। কুয়াশাচ্ছন্ন শীতল কনকনে বৈরি আবহাওয়ায় তারাও দিকভ্রান্ত হয়ে বিপদে পড়তে পারতেন। শেষ পর্যন্ত ওই দিন ভোর রাত সোয়া তিনটায় তারা দিকভ্রান্ত নৌকাটিকে খুঁজে পায় এবং ভোর পৌণে চারটায় নৌকায় থাকা আটজন যাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদে কক্সবাজার পৌঁছে দেয়।