অজ্ঞান ও মলম পার্টিও সংঘবদ্ধ একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ। এই চক্রে নয় জন সদস্য রয়েছে। তারা হলো- মোঃ আল আমিন শেখ (২৭), মোঃ রাসেল হোসেন(২৩), মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩০), মোঃ মামুন ব্যাপারী (৪৩), মোঃ দুলাল ব্যাপারী(৬৫), মোঃ কদ্দুস হোসেন(২৫), ইয়াকুব আলী(২৪), মোঃ রিন্টু শেখ(২৭) ও মোঃ আব্দুল্লা শেখ(৪৫)।
গোয়েন্দা পুলিশ তাদেরকে ১৪ জুন, ২০১৮ বিকাল পাঁচটায় সদর ঘাটের সিটি করপোরেশন হর্কাস মার্কেট সংলগ্ন ৮নং ঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ ওই চক্রের হেফাজত হতে ২৭৮ পিস চেতনা নাশক ট্যাবলেট ও ৬ ছয় কৌটা বিষাক্ত ক্ষতিকর মলম এবং ৩ বোতল বিষ মিশ্রিত পানীয় উদ্ধার করে।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, তাদের কাছে তথ্য আসে একটি সংঘবদ্ধ চক্র পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে গৃহমূখী মানুষের চেতনা-নাশক ট্যাবলেট ও চেতনানাশক পানীয়র নিয়ে অজ্ঞান করে টাকা-পয়সা ও স্বর্নালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নেওয়ার পায়তারা করছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
এই চক্রের সদস্যরা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান থেকে এসে সদরঘাট, রেলস্টেশন, বাস টার্মিনালের মত গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে ঈদে ঘরমুখো মানুষের সহিত যাত্রীবেশে সম্পর্ক তৈরি করে। কেউ সুকৌশলে চেতনা নাশক ট্যাবলেট মিশ্রিত পানীয় পান করায়। আবার কখনও জোরপূর্বক চোখে বিষাক্ত মলম লাগিয়ে সহজ সরল মানুষের নিকট হতে অর্থ ও স্বর্নালংকার ও মুল্যবান জিনিষপত্র লুট করে থাকে।
কখনও কখনও তারা ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে কৌশলে যাত্রীদের পকেট ও ব্যাগে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে নেয়। বিশেষ করে তারা ইফতারের সময় রোজাদার যাত্রীদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে একইসাথে ইফতারীর সুযোগ নিয়ে বিশেষ কৌশলে ইফতার সামগ্রীতে চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে সবকিছু কেড়ে নেয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।