মেসেজিং পরিষেবা হোয়াটসঅ্যাপ দুপুরের পর থেকে হঠাৎই কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে বড় হোয়াটসঅ্যাপ বিভ্রাট হিসাবে মনে করা হচ্ছে। দুপুর ২.৪৪ মিনিটে ফের কাজ করা শুরু করে এই মেসেজিং পরিষেবা। পরিচিত অনলাইন টুল ডাউন ডিটেক্টর দুপুর ১২.০৭ মিনিট নাগাদ অস্বাভাবিকভাবে বেশি ‘সমস্যা রিপোর্ট’ লক্ষ্য করা শুরু করে।
ইতালি এবং তুরস্কের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরাও বার্তা পাঠাতে না পারার বিষয়ে পোস্ট করেছেন। বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটেন জুড়ে ব্যবহারকারীদের জন্য মেসেজিং পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
দুই বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী যোগাযোগ এবং অর্থপ্রদানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের উপর নির্ভর করেন।
সংস্থা জানিয়েছে যে তারা এই পরিষেবা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করেছে। মেটা-র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আমরা জানি যে কিছু ব্যবহারকারীর বর্তমানে বার্তা পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে এবং আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ চালু করার জন্য কাজ করছি’। হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়াও ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মালিক সংস্থা মেটা।
টুইটার এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে #WhatsAppDown হ্যাশট্যাগ সহ বহু মিম শেয়ার করা শুরু হয় এই ঘটনার পরে। অনেক ব্যবহারকারী বলেছেন যে তারা প্রথমে ভেবেছিলেন তাদের ইন্টারনেট পরিষেবায় সমস্যার কারণে এই অ্যাপ কাজ করছে না।
গত বছর ইন্সটাগ্রাম, মেসেঞ্জার, ওকুলাস এবং ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া ব্যাপক বিভ্রাটের পরে এটিই প্রথম বড় হোয়াটসঅ্যাপ বিভ্রাট। সেই বিভ্রাটটি সমাধান হতে প্রায় ছয় ঘন্টা সময় লেগেছিল এবং হোয়াটসঅ্যাপ অনলাইনে ফিরে এসেছে। মেটা সেই সময় জানায় যে তার রাউটারগুলির কনফিগারেশন পরিবর্তনের কারণে বড় বিভ্রাট হয়েছিল।
হোয়াটসঅ্যাপ বিভ্রাট এখনও তুলনামূলকভাবে বিরল, তবে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের ক্ষেত্রে তাদের বড় প্রভাব রয়েছে কারণ এই পরিষেবাটি প্রতি মাসে দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ ব্যবহার করে।