মেক্সিকান অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভয় দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবৈধ প্রবেশ রুখতে চাইছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। নির্বাচনি প্রচারণাকালেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আর এবার সেই সীমান্ত ব্যবহার করে কোনও মেক্সিকান অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তার প্রশাসন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়ার্সের এক খবর অনুযায়ী, অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেওয়া নারী ও শিশুদের আলাদা করা হবে। মা ও তার শিশুকে বন্দিজীবন কাটাতে হবে পৃথকপৃথক স্থানে। এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নে আরও মনোযোগী হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা এখন দেশটির কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন রয়েছে। সরকারের তিনজন কর্মকর্তা বিষয়টি রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ণবাদী মানসিকতাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অভিবাসী নারী ও শিশুদের প্রতি এমন আচরণের মাধ্যমেই নিজের কথিত ইমিগ্রেশন পলিটিক্স জারি রাখতে চান ট্রাম্প।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা দেশটির নাগরিকত্ব ও অভিবাসন-আশ্রয় বিষয়ক প্রধান জন লেফারটি’কে এ পরিকল্পনার বিষয়ে ব্রিফ করেন।
প্রস্তাবিত নতুন এ নিয়মের মাধ্যমে মূলত যেসব নারীরা তাদের সন্তানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী হতে আগ্রহী; তাদের ভয় দেখিয়ে নিবৃত্ত করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। এ প্রস্তাবনার সঙ্গে জড়িত আছেন; এমন কর্মকর্তারাই বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
প্রস্তাবিত এ নীতিমালা কার্যকর হলে, নির্বাসনে পাঠানো কিংবা আশ্রয় শুনানির জন্য অপেক্ষমান অবস্থায় লোকজনকে হেফাজতে নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। শিশুদের রাখা হবে ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস-এর সুরক্ষামূলক হেফাজতে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এমন কোনও স্বজন কিংবা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পান এমন কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাইলে তাদের দায়িত্ব নিতে পারবে। তবে এর আগ পর্যন্ত তাদের সরকারি হেফাজতেই থাকতে হবে। শিশুদের দীর্ঘ সময় আটকে না রাখার ব্যাপারে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে।