প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবপাচার বিরোধী আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি অভিবাসন ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিশ্বের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অভিবাসীদের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রকার হিংসা, ঘৃণা ও বৈষম্যমূলক আচরণের অবসানসহ অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য আইন ও বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। আগামীকাল বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে দিবসটি পালিত হবে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে আশা করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীগণ অন্যতম সহায়ক শক্তি। অভিবাসীদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমৃদ্ধকরণে অভিবাসী কর্মীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। এ ব্যাংক হতে অভিবাসী কর্মীগণ সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারছেন। রেমিটেন্স প্রেরণেও সহজ, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়ায় ডিজিটালাইজেশনের ফলে বিদেশগামী কর্মীদের সেবাপ্রাপ্তি এবং নিয়োগকারী এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। এসকল পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ হতে কর্মী প্রেরণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।”