পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, মোট হামলার ৭৫ ভাগই অভিবাসীরা যেখানে থাকেন তার বাইরে ঘটেছ, কিন্তু প্রায় এক হাজারটি ঘটনায় অভিবাসীরা যেখানে থাকেন সেখানেই আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৬ সালে অভিবাসী ও শরণার্থীদের হোস্টেলগুলোতে ৩,৫৩৩টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২,৫৪৫টি হামলার ক্ষেত্রে হামলার শিকার ছিল একজন। আবাসস্থলে হামলার ঘটনা ঘটেছে ৯৮৮টি। শরণার্থী সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর ২১৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এসব হামলায় ৪৩টি শিশুসহ ৫৬০ জন আহত হয়েছেন। ২০১৫ সালে জার্মানিতে ছয় লাখ আশ্রয়প্রার্থী প্রবেশ করলেও ২০১৬ সালে তা কমে দুই লাখ ৮০,০০০ জনে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের চুক্তি ও বলকান অঞ্চলে অভিবাসী ও শরণার্থীদের প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পর আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা হ্রাস পায়।
দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল, সংঘাত ও নিপীড়ন এড়াতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা লোকজনের জন্য জার্মানির সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। তার এই নীতির ফলে জার্মানিতে কট্টরপন্থা ও ঘৃণাজনিত অপরাধ বেড়ে গেছে, অপরদিকে আশ্রয়প্রার্থীদের উপচে পড়া আবেদনপত্রও স্তূপ হয়ে আছে।
ইউরোপজুড়ে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলার পর জার্মানিতেও এ ধরনের হামলার শঙ্কা বেড়েছে। আসছে সেপ্টেম্বরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে শরণার্থী ইস্যুটি বড় হয়ে দেখা দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।