মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে গ্রেপ্তার করে সেনা শাসক ক্ষমতায় বসার পর থেকেই দেশটিতে সহিংসতা শুরু হয়েছে। ঘটেছে অর্ধ শতাধিক প্রাণহানির ঘটনাও। সেনা অভ্যুত্থানের পর এমন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এসময় ধর্মঘটে যাচ্ছে মিয়ানমারের শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। সোমবার এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।
সেনা অভ্যুত্থানের পর সংকটে পড়েছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো। শ্রম ব্যবস্থার ওপরও পড়েছে ব্যাপক প্রভাব। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।
নির্মাণ, কৃষি ও পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ৯টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের সমন্বিত সংগঠন ‘সবাই মিয়ানমারের নাগরিক’ সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ ও অং সান সু চির মুক্তি দাবিতে কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণের এখনই সময়।
গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বড় জয় পেলেও তার স্বীকৃতি না দিয়ে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে।
পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে হয় কারাগারে না হয় বাড়িতে বন্দি করে রেখেছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭শ’র বেশি মানুষকে।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অন্তত ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এক পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন।
এদিকে রাতভর ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন এলাকায় গুলি ও স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।