অর্ধশতক করে মুশফিকের বিদায়
সৌম্যর মতো অর্ধশতকের পর ইনিংস বড় করতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। জেমস নিশামের আগের ওভারে চার হাঁকিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছানো মুশফিকুর ফিরেন পরের ওভারে। ডান হাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সহজ ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লুক রনকিকে।
৬৬ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় মুশফিক ফিরেন ৫৫ রান করে। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৯ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮৬/৫। ৩৩ রানে ব্যাট করা মাহমুদউল্লাহ সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
সাকিবের দ্রুত বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ
ইশ সোধিকে পরপর দুই বলে সুইপ করলেন সাকিব আল হাসান। শর্ট ফাইন লেগে দুবারই ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিলেন রস টেইলর। পরের বলে নতুন শট খেলতে গেলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, এবার মিডঅফে ক্যাচ গেল জেমস নিশামের হাতে।
১৪ বলে একটি চারে ৬ রান করে ফিরেন সাকিব। তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ১৩২/৪। মুশফিকুর রহিম ৩৬ রানে অপরাজিত। তার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
থিতু হয়ে সৌম্যর বিদায়
আরও একবার সুযোগ হারালন সৌম্য সরকার। থিতু হয়েও বড় করতে পারলেন না নিজের ইনিংস। চমৎকার ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক পাওয়ার পর ফিরলেন ষাটের ঘরে গিয়েই।
লেগ স্পিনার ইশ সোধিকে সুইপ করতে গিয়ে টাইমিং হয়নি, ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় জমান অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ৬৭ বলে ৬১ রান করতে পাঁচটি চার হাঁকান সৌম্য।
২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১৮/৩। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের একশ
তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমানের দ্রুত বিদায়ের পর বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়েছে সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। দুই জনে ২১তম ওভারে দলের সংগ্রহ নিয়ে গেছেন তিন অঙ্কে।
২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০১/২। সৌম্য ৫৬ ও মুশফিক ১৬ রানে ব্যাট করছেন।
শূন্যর পর সাব্বিরের ১
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শূন্য রানে ফেরা সাব্বির রহমান ব্যর্থ নিজের দ্বিতীয় ইনিংসেও। বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের স্কিড করা বল পিছিয়ে গিয়ে খেলতে গিয়ে পারেননি। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।
১ রান করতে চার বল খেলেন সাব্বির। তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ৭৯/২। সৌম্য সরকার টিকে আছেন অর্ধশতক করে। যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
তামিমের বিদায়, সৌম্যর অর্ধশতক
জেমস নিশামের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলটি মারারই ছিল। টাইমিংয়ে গড়বড় করে যেখানে পাঠাতে চেয়েছিলেন ততদূর পর্যন্ত নিতে পারেননি তামিম ইকবাল। কাভার সীমানায় সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন কলিন মানরো।
৪২ বলে তিনটি চারে ২৩ রান করে ফিরেন তামিম। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ভাঙে ৭২ রানের উদ্বোধনী জুটি।
সেই ওভারের শেষ বলে এক রান নিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছান সৌম্য। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের পঞ্চাশ আসে ৫৩ বলে, চারটি চারে।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৮/১।
তামিম-সৌম্য জুটিতে অর্ধশতক
দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দুই মেজাজের ব্যাটিংয়ে একাদশ ওভারে অর্ধশতকে পৌঁছায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রানে ৪ উইকেট হারানো দলটি কোনো উইকেট না হারিয়ে পঞ্চাশ ছাড়ায়।
১১ ওভার শেষে বাংলাদেশর স্কোর ৫২/০। তামিম ইকবাল ৩১ বলে ১৬ ও সৌম্য সরকার ৩৫ বলে ৩৫ রানে খেলছেন।
আক্রমণাত্মক সৌম্য, ধীরস্থির তামিম
দেখেশুনে খেলছেন তামিম ইকবাল। নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্রুত ফেরা সৌম্য সরকার বাজে বল পেলেই চড়াও হচ্ছেন। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দলকে এনে দিয়েছেন ভালো সূচনা। ৯ ওভার শেষে দলের স্কোর ৩৮/০।
একাদশে একটি পরিবর্তন
তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে জায়গা দিতে গিয়ে বাদ পড়েছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজে তিন ওয়ানডেতে একটি হ্যাটিট্রকসহ ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া প্রথম ওয়ানডের বাংলাদেশ দল থেকে পরিবর্তন এই একটিই।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন, টস জিতলে সিদ্ধান্ত কি নেবেন তা নিয়ে লম্বা আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে। জিতলে ফিল্ডিং নিতেন, তবে এই উইকেটে আগে ব্যাটিং করে ডিফেন্ড করার মতো বড় স্কোর করা সম্ভব।
একটি প্রথমের সন্ধানে মরিয়া বাংলাদেশ
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে কখনও দেশটিকে ওয়ানডেতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেই জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফিরছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ৫১ রানে হারায় নিউ জিল্যান্ড।