প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাও রীতিমতো অজিদের গুঁড়িয়ে দিয়ে। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে অজিদের বিপক্ষে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে কিউইরা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্টার্কের প্রথম ওভারেই ১৪ রান তুলে নেয় কিউইরা। ওপেনার ফিন অ্যালেন তাণ্ডব শুরু করেন। যোগ্য সঙ্গ দেন কনওয়েও। পরের ওভারে দুই চারে ১৫ রান, কামিন্সের তৃতীয় ওভার থেকে তারা তুলে নেন ১৭ রান। মার্কোস স্টইনিসের করা চতুর্থ ওভারে ১০ রান তুলে নেন দুই ওপেনার। চার ওভারেই নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে ওঠে ৫৬ রান।
পঞ্চম ওভারে হ্যাজেলউডের ইয়র্কারে বিদায় নেন ফিন অ্যালেন। ফেরার আগে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ডানহাতি ব্যাটার। দলীয় ১২৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে গেল আসরের রানার্স আপদের। জাম্পার ঘূর্ণি সামলাতে না পেরে লেগ বিফোর হন কেন উইলিয়ামসন। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৯ রানের জুটি। ২৩ বলে ২৩ রান করেন কিউই অধিনায়ক।
উইলিয়ামসন ফিরলে আরেক প্রান্তে ফিফটি তুলে নেন কনওয়ে। ইনিংসের শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। ৫৮ বলের মুখোমুখি হয়ে ৭ চার ও দুই ছক্কায় ৯২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। শেষদিকে ১৩ বলে ২৬ রান করেন জিমি নিশাম। দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ।
বড় রানের চাপে শুরুতেই ছন্দপতন হয় অজি ব্যাটারদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারকে ৫ রান করে টিম সাউদির বলে বোল্ড হন। ওপেনার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ১১ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পরেই ফিরে যান মিশেল মার্শ । অজিরা ৩৪ রানে তিনটি এবং ৫০ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। ওই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তিনটি চার ও এক ছক্কায় ২০ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। এছাড়া ১৮ বলে ২১ রান করেন প্যাট কামিন্স। তাতে মান বাঁচেনি অজিদের। কিউইদের পক্ষে ২.১ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি। সাকিবকে ছাড়িয়ে টি-২০ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন। ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার মিচেল সান্টনার। অনুমিতভাবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ডেভন কনওয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের মাটিতে এর আগে ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও কোনো ম্যাচই জেতেনি নিউজিল্যান্ড। ৪র্থ বারের চেষ্টায় এই ফরম্যাটে অজিদের মাটিতে স্বাগতিকদের হারানো স্বাদ পেল কেন উইলিয়ামসনের দল। এ ছাড়াও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে দুই দলের এখন তিনবারের দেখায় ২ জয় নিয়ে এগিয়ে গেল কিউইরা। একবারই হেরেছিল বিশ্বকাপে। সেটিও গত বছরের ফাইনালের মঞ্চে।