আজকের পর পার্থে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে পারবে না অস্ট্রেলিয়া। এটি যদি আক্ষেপ হয় তবে প্রাপ্তিও কম নয়। সোমবার পার্থ টেস্টের পঞ্চম ও শেষদিন ইংল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪১ রানে পরাজিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ের ফলে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করেছে অজিরা।
পার্থের ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (ওয়াকা) প্রথম ইনিংসে ৪০৩ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ৬৬২ রান তোলে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ২৫৯ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড সোমবার টেস্টের পঞ্চম দিন মাত্র ২১৮ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে ইনিংস ব্যবধানে জয় পায় স্টিভেন স্মিথের দল। এর আগে ব্রিসবেন এবং অ্যাডিলেড টেস্টেও জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
টানা তিন টেস্টে হেরে সমালোচনার মুখে পড়া ইংল্যান্ড সম্মান রক্ষার জন্য একটা কাজই করতে পারে। সিরিজের বাকি দুই টেস্টে জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জো রুটের দল। গত ২০১৩-১৪ এবং ২০০৬-০৭ মৌসুমে ইংলিশদের ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সোমবার বৃষ্টির কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। ম্যাচ শুরু হলে হার বাঁচাতে ৬ উইকেট নিয়ে প্রায় ৭০ ওভার খেলতে হতো ইংল্যান্ডকে। তবে সফরকারীরা তার অর্ধেকও খেলতে পারেনি। জস হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়নের বোলিং তোপে পড়ে ইনিংস হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে জেমস ভিন্সি ৫৫ এবং ডেভিড মালান করেন ৫৪ রান। এছাড়া ক্রিস ওকসের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন হ্যাজলউড। অ্যাশেজে এবারই প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের দেখা পেলেন এই অজি পেসার। এছাড়া কামিন্স ও লায়ন নেন দুটি করে উইকেট। মিচেল স্টার্ক পান একটি উইকেট।
প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক স্মিথের ডাবল সেঞ্চুরি এবং মিচেল মার্শের ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ইনিংসের সুবাদে রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করা স্মিথ ২৩৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া মার্শ আগের দিনের ১৮১ রানের সঙ্গে আর কোনো রানই যোগ করতে পারেননি। এছাড়া উসমান খাজা ৫০, পাইন ৪৯ এবং কামিন্স করেন ৪১ রান।
ইংল্যান্ডের হয়ে জেমস অ্যান্ডারসন সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন। এছাড়া ক্রেইগ ওভারটন দুটি এবং ক্রিস ওকস ও মঈন আলি নেন একটি করে উইকেট। আগামী ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার বক্সিং ডে টেস্ট শুরু হবে। সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু হবে আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি। টেস্ট সিরিজের পর দল দুটি পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে লড়বে।