বয়স ৩৯ বছর ছুঁই ছুঁই। ক্রিস গেইলের বয়সে কোচ হয়ে গেছেন অনেকে। অথচ তিনি খেলে চলেছেন দাপটে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তাঁর তিনটি স্কোর ৪০, ২৯ ও ৭৩। ওয়ানডের চেয়ে টি-টোয়েন্টিটা বেশি উপভোগ করেন এই তারকা। এর পরও খেলছেন না সাকিব আল হাসানদের বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ‘বিশ্রাম’ নিয়ে চলে এসেছেন মুম্বাইয়ে। করছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং। এরই ফাঁকে কথা বললেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।
অবধারিত প্রশ্ন, অবসর নিচ্ছেন কবে? গেইল জানালেন আপাতত ভাবছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে। সেখানে যেমনই খেলুন ক্যারিয়ার শেষ করতে চান ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর, ‘আমি আগে দলের কোচ আর নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলব। জানতে চাইব আমাকে ঘিরে তাঁদের পরিকল্পনা। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে আশাবাদী আমি। আমার ভাবনাটা হচ্ছে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলা। নির্বাচকদের আর আমার ভাবনা মেলে কি না সময়ই বলবে সেটা।’ ডেল স্টেইন ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে অবসরের কথা। এবি ডি ভিলিয়ার্স তো বিশ্বকাপ না খেলেই অবসরে। তাঁদের চেয়ে চার বছর বেশি বয়সী গেইলকে নাম দুটি স্মরণ করিয়ে দিতে মজা করলেন নিজের ঢঙে, ‘ক্রিস গেইল সেখানে থাকছে তাহলে তোমরা আর উদ্বিগ্ন হচ্ছ কেন?’
ক্রিস গেইল, ড্যারেন সামি, ডোয়াইন ব্রাভোদের সোনালি প্রজন্ম ক্যারিবীয়দের জিতিয়েছে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে তাঁরা। তাঁদের উত্তরসূরি হিসেবে দলের হাল ধরবেন কে? গেইল জানালেন তিনটি নাম, ‘শিমরন হেটমায়ার, শাই হোপ ও এভিন লুইস। ভীষণ প্রতিভাবান ওরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলে প্রতিভাবান ও পারফরমারদের অভাব হবে না কখনো।’ এই বয়সেও বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মাতিয়ে চলেছেন ক্রিস গেইল। এত বেশি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য হুমকিতে টেস্ট ও ওয়ানডের ভবিষ্যৎ। তাই আইসিসি ভাবছে কোনো দেশের একজন খেলোয়াড় দুটির বেশি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে না? এমন আইন হবে না বলেই আশাবাদী গেইল, ‘এটা কি নিশ্চিত হয়ে গেছে? আমার মনে হয় না শেষ পর্যন্ত এমন কিছু হবে। একজন খেলোয়াড় বছরজুড়ে খেলতে পারলে সমস্যা কী? আমি গত ১২-১৩ বছরজুড়ে খেলছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাও বাড়িয়েছি। এ জন্য মিস্টার গেইলকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত সবার!’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধারণা এসেছিল ইংলিশ ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে। আইপিএলের কল্যাণে এটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিশ্বব্যাপী। সেই ইংল্যান্ড এবার নতুন স্বপ্ন দেখছে ১০০ বলের ক্রিকেট নিয়ে। এ নিয়ে অবশ্য এখনো কিছু বলতে চান না গেইল, ‘পুরো নিয়ম-কানুন আগে জানতে চাই আমি। আগে দেখতে হবে খেলোয়াড়রা কিভাবে মানিয়ে নেয় এর সঙ্গে।’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিরাট কোহলির ১৪৯ রানের ইনিংসটির হাইলাইটস দেখেছেন গেইল। তাতেই মুগ্ধতা ঝরল ইনিংসটি নিয়ে, ‘মুম্বাইয়ে একটি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। কোহলির ইনিংসের হাইলাইটস দেখেছি। অসাধারণ। ইংল্যান্ডে কোহলির বাজে ফর্ম নিয়ে কথা হচ্ছিল অনেক। টেল এন্ডারদের নিয়ে করা লড়াইটাই সব সমালোচনার জবাব। ভারতীয় অন্য ব্যাটসম্যানরা আত্মবিশ্বাস পাবে এই ইনিংস থেকে।’