প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন সাধারণ নাগরিকদের কাছে থাকা সামরিক ধাঁচের (মিলিটারি) নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরই ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। এরই মধ্যে কয়েক শ লোক তাদের কাছে থাকা অস্ত্র জমা দিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। গতকাল শুক্রবার নিউজিল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫০ মুসলিমকে হত্যা করে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ব্রেন্টন টারান্ট নামে এক সন্ত্রাসী। ওই হামলার ঘটনার পর থেকেই দেশটিতে অস্ত্র আইন সংশোধনের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার আরর্ডান সেমি অটোমেটিক রাইফেল, অ্যাসল্ট রাইফেল, উচ্চ ক্ষমতাপূর্ণ ম্যাগাজিন এবং অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ কেনাবেচা ও বহন নিষিদ্ধ করেন। মূলত নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দাদের কাছে থাকা অবৈধ হয়ে যাওয়া সামরিক ধাঁচের অস্ত্র জমা নিতেই উদ্যেগী হয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন বলেন, সাধারণ ক্ষমা ও অস্ত্র কিনে নিতেই সেমি অটোমেটিক অস্ত্রগুলো জমা নেওয়া হচ্ছে। আর এর জন্য দেশবাসীকে যতটা দ্রুত সম্ভব পুলিশের কাছে নিজেদের অস্ত্র জমা দিতে হবে। নিউজিল্যান্ডের সহকারী পুলিশ কমিশনার তুসা পেনি বলেন, সামরিক ধাঁচের সব ধরনের অস্ত্র নিষিদ্ধ হওয়ার ২০ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৫০০ মানুষ পুলিশের হটলাইনে ফোন দিয়েছে। অস্ত্র জমা দিতে পুলিশ ওই হটলাইনটি চালু করে। এ ছাড়া অস্ত্র জমা দিতে এক হাজারের বেশি মানুষ অনলাইনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
পেনি আরো বলেন, অস্ত্র আইন সংশোধনের বিষয়ে নিউজিল্যান্ডের সরকার ও বিরোধী দল এক মতমত হওয়া সত্ত্বেও অনেক সমালোচক এই পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে অনলাইনে ‘বিরক্তিকর’ তথ্য ছড়াচ্ছে। সূত্র : এএফপি।