শন মার্শের সেঞ্চুরিতে অ্যাডিলেডে অ্যাশেজের দিবা-রাত্রির টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৪৪২ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ১২৬ রান তুলে অপরাজিত থাকেন মার্শ। দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৪১৩ রানে পিছিয়ে ইংলিশরা।
প্রথম দিন শেষে ৮১ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৯ রান তুলেছিলো অস্ট্রেলিয়া। পিটার হ্যান্ডসকম্ব ৩৬ ও মার্শ ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন। কোন রান যোগ না করে দ্বিতীয় দিন ফিরে যান হ্যান্ডসকম্ব। এরপর উইকেটরক্ষক টিম পাইন ও প্যাট কামিন্সকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় স্কোর এনে দেন মার্শ।সাত বছর পর টেস্ট দলে ফিরে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন পাইন। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৭ রানে ফিরেন তিনি। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন মার্শ। ১২ ইনিংস পর তিন অংকে পা দিলেন তিনি।
শেষ দিকে মার্শকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন কামিন্স। ৯০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে অধিনায়ক ইনিংস ঘোষনা করায় ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩১ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত থাকতে হয় মার্শকে। ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা ডান-হাতি পেসার ক্রেইগ ওভারটন ৩ ও স্টুয়ার্ট ব্রড ২ উইকেট নেন।
আলো স্বল্পতার কারনে দিনের খেলা শেষ হবার আগে ৯ দশমিক ১ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পায় ইংর্যান্ড। সপ্তম ওভারের শেষ বলে নামের পাশে ১৮ রান রেখে ফিরে যান ওপেনার মার্ক স্টোনম্যান। তাকে শিকার করেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। তবে দিন শেষে সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ১১ ও জেমস ভিন্স শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া : ৪৪২/৮ডি, ১৪৯ ওভার (মার্শ ১২৬*, পাইন ৫৭, ওভারটন ৩/১০৫)।
ইংল্যান্ড : ২৯/১, ৯.১ ওভার (স্টোনম্যান ১৮, কুক ১১*, স্টার্ক ১/১৩)।