আইনি সহযোগিতা পাবেন সেই শামিমা। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়তে আইএস ফেরত শামিমা বেগমের আইনি সহযোগিতা মঞ্জুর করা হয়েছে। ডেইলি মেইল গত রবিবার এ তথ্য উদঘাটন করেছে। শামিমাকে আইনি সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা।
ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া শামিমা জঙ্গিগোষ্ঠী (আইএস) এ যোগ দিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব লন্ডনে বসবাসরত তার পরিবার ছেড়ে যান। সেই সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর এবং তিনি স্কুলে পড়তেন। তিনি সিরিয়ার রাকা নগরীতে ছিলেন এবং ইয়োগো রিয়েজিক নামে এক ডাচ জিহাদিকে বিয়ে করেন। তাদের তিনটি সন্তান হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকে শিশু অবস্থায় মারা যায়।
চার বছর নিখোঁজ থাকার পর এ বছরের শুরুর দিকে একটি শরণার্থী শিবিরে তাকে পাওয়া যায় এবং তিনি দেশে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
ডেইলি মেইলের অনুসন্ধানে জানা গেছে, শামিমা বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক আবেদন করা না হলেও নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাকে আইনি সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়টি মঞ্জুর করা হয়েছে।
এদিকে নাগরিকত্ব বাতিল হওয়া একজন জিহাদির জন্য যুক্তরাজ্যের করদাতাদের অর্থ ব্যয় করা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন কয়েকজন ব্রিটিশ এমপি। তারা এটাকে ‘ন্যক্কারজনক’ ও ‘হাস্যকর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
এছাড়া এর আগে বিভিন্ন সময় আইনি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হওয়া বেশ কয়েকজন ব্যক্তির স্বজন এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।