স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে আরও সমুন্নত করতে সৎ, নির্ভীক ও দৃঢ়চেতা বিচারকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের নবাব নওয়াব আলী মিলনায়তনে আইন বিভাগ আয়োজিত বিচারপতি সিকান্দার আলী মেমোরিয়াল বৃত্তি প্রদান-২০১৮ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আইনের শাসন’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
স্পিকার বলেন, সমাজের কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আইন গুরুত্বপূর্ণ। এই আইনের মাধ্যমেই জনগণ প্রতিকার পেয়ে থাকে। আর এক্ষেত্রে বিচারকদের ভূমিকাই মুখ্য।
তিনি বলেন, সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। আইনের মাধ্যমে সমাজে সমতা ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আইনের অনুপস্থিতিতে ক্ষমতার অপব্যবহার সৃষ্টি হয়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বৃত্তি প্রদানের মতো গঠনমূলক কাজের মধ্য দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব। বিচারপতি সিকান্দার আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগ। এই তিন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ও সুসম্পর্ক বজায় থাকলে রাষ্ট্র স্বাভাবিক গতিতে চলে। আর এ তিনটি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কাজ সম্পাদন করে থাকে।