এবারের আইপিএলের কথাই ধরুন। উঠে আসবে অন্তত দু’জন ক্রিকেটারের নাম। থাঙ্গারাসু নটরাজন ও মোহাম্মদ সিরাজ। আমজনতা তাদের নাম শুনেছেন কি না, এ নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে। দশম আইপিএলের সৌজন্যে এক রাতেই তারা কোটিপতি হয়ে গেছেন। তবে বিডিং প্রাইসের যে পরিসংখ্যান সামনে আসে তার সবটাই কি ক্রিকেটারদের পকেটে ঢোকে?
আইপিএলে দু’ধরনের চুক্তি হয়। ১) প্রথম ধরনের চুক্তিকে বলা হয় ফার্ম অ্যাগ্রিমেন্ট। এতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) থেকে একটা বাঁধাধরা অঙ্কের (ফিক্সড প্রাইস) পারিশ্রমিক পান ক্রিকেটার। বিডিং প্রাইসের সঙ্গে সেই ফিক্সড প্রাইসের যে পার্থক্য রয়েছে তা বিসিসিআইয়ের কোষাগারে ঢোকে। ২) বেসিক অ্যাগ্রিমেন্ট। এ চুক্তিতে ক্রিকেটার বিডিং অ্যামাউন্ট ঘরে নিয়ে যেতে পারেন। তবে গড়ে ৮০ লাখ টাকা রোজগার করেন ক্রিকেটাররা।
এছাড়াও প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ওপর বছরে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতি ক্রিকেটারের জন্য প্রতিদিন ১০০ ডলারের খরচও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা নিজের দেশের হয়ে খেলার জন্য যেকোনো সময় আইপিএল ছেড়ে যেতে পারেন। তবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিজেরাই ঠিক করতে পারেন, তিনি আইপিএল খেলবেন না ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলবেন। ওয়েবসাইট।