ভরদুপুরে জমিতে ধানের চারা বসাচ্ছিলেন কয়েকজন কৃষক। আচমকা প্রচণ্ড আওয়াজ শুনে ভয় পেয়ে যান সকলে। এরপরই খেয়াল করেন আকাশ থেকে ফুটবলের মতো কিছু একটা জমিতে এসে পড়ল। আর সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চারিদিক। আতঙ্কে কৃষি জমির মধ্যেই এদিক-ওদিক দৌড়তে শুরু করলেন কৃষকরা। সরে গেলেন ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে। যদিও পরে ধোঁয়া কমতেই কৌতূহলের বশে ফিরে এলেন ঘটনাস্থলে। আর এসে দেখলেন, সেখানে প্রায় চারফুটের একটি বড় গর্ত হয়েছে। আর তাতে পড়ে রয়েছে হালকা বাদামি রঙের অদ্ভুত দেখতে একটি পাথর। গর্ত থেকে সেটিকে বের করতেই চোখ কপালে ওঠে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কৃষকদের। কারণ, এই ধরনের পাথর তাঁরা কখনও দেখেননি। প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেলেও পরে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন ওই কৃষকরা। আর এই পরেই ঘটনাস্থলে এসে পাথরটি উদ্ধার করে পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বতর্মানে এটি পাটনা জাদুঘরে রাখা হয়েছে। পাথরটিতে লোহা ঠেকিয়ে পরীক্ষা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও।
ঘটনাটি ঘটেছে, ভারতের বিহার রাজ্যের মধুবনী এলাকায় গত বুধবার দুপুরে ধানের চারা বসানোর কাজ চলছিল। আচমকা আকাশ থেকে ১৫ কেজির একটি পাথর মাটিতে এসে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে মধুবনীর জেলাশাসক শিরসাত কপিল অশোক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “কৃষকরা জমিতে কাজ করছিলেন। সেসময় আকাশ থেকে প্রচণ্ড শব্দ করে ওই পাথরটি পড়ে। সেটিকে দেখে সাধারণ বলে মনে হচ্ছিল না। তাই ওখানে উপস্থিত লোকজন প্রশাসনকে খবর দেন। পাথরটি দেখে প্রাথমিকভাবে উল্কা বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর মধ্যে চৌম্বকীয় শক্তিও রয়েছে। যদিও পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।”
বিহারের শ্রীকৃষ্ণ বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা ওই পাথরটি পরীক্ষা করে দেখছেন। তাঁদের মধ্যে মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন, এটি উল্কাপিণ্ড। কারণ এই পাথরের গায়ে যেরকম খাঁজ রয়েছে তা একমাত্র উল্কাপিণ্ডেই দেখা সম্ভব। আকাশ থেকে পৃথিবীতে পড়ার সময় বায়ুস্তরে ঘষা খায় উল্কাপিণ্ডগুলি। এর ফলে এই খাঁজ তৈরি হয়ে থাকে। তবে এবিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।