ব্লুমফন্টেইনের ম্যানগাউং ওভালে এমনিতেই বেশি টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা হয়না। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে এই ভেন্যুতে।
বলা বাহুল্য যে সবকটিতেই জয়ী দলের নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। যে কারণে ম্যানগাউং ওভাল প্রোটিয়াদের জন্য ‘পয়মন্ত’। এই মাঠেই ২০০৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাউন্সি উইকেটের জন্য খ্যাত ম্যানগাউং ওভালে সেই ম্যাচটিতে ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে হারতে হয়েছিল টাইগারদের। সেই ভেন্যুতেই শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামছে তামিম বিহীন বাংলাদেশ।
২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই টেস্টের পর আর কোনো টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। সেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আবারও টেস্ট ক্রিকেট ফিরছে এই ভেন্যুতে। এই ভেন্যুতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। সেই অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়।
৯ বছর আগের সেই ম্যাচে দুই ইনিংসে ১৫৩ ও ১৫৯ রানে অল-আউট হয়েছিল সফরকারীরা। এবার মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা এর মত বিশ্রামে থাকা সাকিবের পাশাপাশি ইনজুরি আক্রান্ত তামিম ইকবালকেও পাচ্ছে না মুশফিকরা।
তারপরও দ্বিতীয় টেস্টে ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয় টাইগার দলপতি মুশফিকের, ‘আমাদের লক্ষ্য সিরিজে ঘুড়ে দাঁড়ানো। আশা করছি, আমরা সফল হবো। অবশ্যই এ ম্যাচে ভাল কিছু করতে হবে নতুবা আমাদের জন্য খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। ‘
এদিকে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে স্বাগতিকরা। প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস বলেছেন, ‘প্রথম টেস্টে নিখুঁত অল-রাউন্ড পারফরমেন্স হয়েছিলো আমাদের। আশা করি এখানেও তা অব্যাহত রাখতে পারবো। আমাদের লক্ষ্য থাকবে নিজেদের সেরাটা বের করে আনা। আমরা ম্যাচ জিততে চাই। পাশাপাশি সিরিজও জিততে চাই। ‘
৬ অক্টোবর শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোমিনুল হক, লিটন কুমার দাস (উইকেটকিপার), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন. শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও শুভাশিষ রায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল: ফাফ ডু-প্লেসিস (অধিনায়ক), ডিন এলগার, আইডেম মার্করাম, হাশিম আমলা, টেম্বা বাভুমা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), তিউইনস ডি ব্রুইয়ান, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, ডেন প্যাটারসন, ডুয়ানে অলিভার, ওয়েন পার্নেল ও আন্দিলা ফেলুকুয়াও।