আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হবে আগামী ২ জুন থেকে। আর ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৯ জুন থেকে।
রেল সুত্র জানিয়েছে, সড়কের নানা বিধ সমস্যার কারণে এবার ট্রেনে চাপ বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই রেল কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। বাড়ানো হচ্ছে বাড়তি কোচ ও ইঞ্জিন। অপর দিকে বাসের টিকিট বিক্রির ব্যাপারে এখনও কোন সিন্ধান্ত হয়নি।
রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির ব্যাপারে প্রাথমিক ভাবে এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২ জুন থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ফিরত টিকিট বিক্রি হবে ৯ জুন থেকে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যে কোন সময় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
রেল সূত্র জানায়, এবারও ৫ দিন ধরে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি হবে। ২ থেকে ৬ জুন ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঈদযাত্রার আগাম টিকেট বিক্রি হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কাউন্টারে এই টিকেট পাওয়া যাবে।
প্রথম দিন ২ জুন বিক্রি হবে ১১ জুনের টিকিট। ৩ জুন বিক্রি হবে ১২ জুনের টিকিট। ৪ জুন বিক্রি হবে ১৩ জুনের টিকিট। ৫ জুন বিক্রি হবে ১৫ জুনের টিকিট। ৬ জুন হবে ১৬ জুনের টিকিট। অপর দিকে ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৯ জুন থেকে। আর এ দিন বিক্রি হবে ১৮ জুনের টিকিট। ১০ জুন বিক্রি হবে ১৯ জুনের টিকিট। ১১ জুন বিক্রি হবে ২০ জুন থেকে। ১২ জুন বিক্রি হবে ২১ জুনের টিকিট। ১৩ জুন বিক্রি হবে ২২ জুনের টিকিট।
সূত্র জানায়, ঈদের সময় প্রতিদিন সারাদেশে ২ লাখ ৬৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে রেলওয়ে। এ জন্য ১৫০টি বাড়তি কোচ যোগ করা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে ইঞ্জিনের সংখ্যা। আর ঈদের চার দিন আগে থেকে ৭ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। তা চলবে ঈদ পরবর্তী ৭ দিন পর্যন্ত। এসব বিশেষ ট্রেন ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ, রাজশাহী, পার্বতীপুর এবং চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর রুটে যাত্রী পরিবহন করবে। শোলাকিয়া ঈদগায় যাতায়াতের জন্য ঈদের দিন ভৈরববাজার থেকে কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ রুটে দুটি ট্রেন চালানো হবে।
রেল সূত্র জানায়, রেলওয়ের কর্মকর্তাদের তদারকিতে ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রামে এই টিকিট বিক্রি হবে। একজন যাত্রী সর্বাধিক ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন এবং বিক্রিত টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। কমলাপুরের ২৩টি কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি হবে। এরমধ্যে নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা কাউন্টার। তবে নারীদের চাপ বেশি থাকলে আরো একটি কাউন্টার খোলা হবে। এবারও কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন আগাম টিকিট বিক্রি হবে ২১ হাজার ১২২টি। তবে এর মধ্যে ২৫ শতাংশ দেয়া হচ্ছে অনলাইনে, ৫ শতাংশ ভিআইপি কোটা ও ৫ শতাংশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শ্যামলী পরিবহনের এমডি রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ঈদে বাসের আগাম টিকিটি বিক্রি নিয়ে এখনও কোন সিন্ধান্ত হয়নি। ২/৪ দিনের মধ্যে মিটিং করে এ ব্যাপারে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।