প্রত্যেক বাঙ্গালীর রসনার একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ এই পুলি পিঠা বা পিঠে পুলি। যান্ত্রিকতার এই শহরে সেসবের দেখা পাওয়া মুশকিল। নিজেই যদি পরিবারের জন্য বা প্রিয় মানুষটির জন্য মজার পুলি পিঠা তৈরি করে চমকে দেন, তবে কেমন হয়? ঝটপট জেনে নিন পুলি পিঠা তৈরির রেসিপিটা।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- চালের গুঁড়া – আড়াই কাপ
- ময়দা – আধা কাপ
- পানি – দেড় কাপ
- লবণ – আধা চা চামচ
- ঘি – আধা চা চামচ
- দুধ – দেড় কেজি
- চিনি – স্বাদ মতো ; নূন্যতম এক কাপ
- গুঁড়ো দুধ – প্রয়োজনীয়তা অনুসারে
- কনডেন্সড মিল্ক – প্রয়োজনমত
- নারিকেল কুড়ানো – দেড় কাপ
- এলাচ – ২,৩টি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে পিঠার ভেতরে থাকা পুরের জন্য দেড় কাপ নারিকেল কুড়ানো আলাদা করে রেখে দিন (সামান্য রেখে দিতে হবে পরে দুধের মধ্যে দেওয়ার জন্য)। এখন বাকি নারিকেল কুরার সাথে পাঁচ থেকে ছয় চামচ চিনি দিয়ে ফ্রাইপ্যানে সাত থেকে আট মিনিট ভেজে উঠিয়ে নিন (মূলত নারিকেলের পানি শুকাতে যতক্ষণ লাগে আরকি) এই সদ্য প্রস্তুতকৃত পুর পিঠার ভেতরে দিতে হবে।
এবার দুধের সঙ্গে গুঁড়াদুধ, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক আর এলাচ মিশিয়ে জ্বাল দিন। পিঠা বানানো হতে হতে দুধ খুব সুন্দর জ্বাল হয়ে হালকা রং হবে। এখন অন্য পাতিলে পানির সঙ্গে লবণ এবং ঘি একসাথে দিয়ে গরম করুন। ফুটানো পানির সঙ্গে চালের গুঁড়া ও ময়দা একসাথে দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়ে খামির প্রস্তুত করে ফেলুন। রুটি বানানোর পিঁড়িতে গরম গরম খামির খুব ভালো করে মথে নিন।
এখন খামিরটা ১০ ভাগ করুন। এক একটি ভাগ দিয়ে ছোট ছোট রুটি বেলে অথবা হাত দিয়ে চেপে পাতলা করে ভিতরে নারিকেলর পুর দিয়ে পুলিপিঠা প্রস্তুত করুন। এভাবে সব পিঠাগুলো তৈরি করে নিন। এখন বানানো পুলিপিঠা, ফুটিয়ে রাখা দুধের মধ্যে দিয়ে চুলার আঁচ কম রেখে ১০ মিনিট রান্না করে ফেলুন।
হাঁড়ি আস্তে ঝাঁকিয়ে পিঠার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে নিন। ১০ মিনিট রান্নার পর কুড়ানো নারিকেল দিয়ে আরও দুই থেকে তিন মিনিট রান্না করে নামিয়ে পাত্রে ঢেলে পরিবেশন করুন মজাদার দুধ পুলি পিঠা। একটু ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে চাইলে প্রয়োজনে কিছুক্ষণ ফ্রিজেও রাখতে পারেন।