পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হক একবার গ্যালারিতে মারতে গিয়েছিলেন এক দশর্ককে। ঘটনাটা ১৯৯৭ সালে সাহারা কাপে। কানাডার টরন্টোতে অনুষ্ঠিত ওই টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দেন ইনজামাম।
বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন ইনজামাম। এর আগে থেকেই গ্যালারি থেকে এক ভারতীয় সমর্থক তাকে ‘আলু’ বলে ডাকছিল। এরপরই ইনজি ক্ষেপে গিয়ে ব্যাট দিয়ে মারতে যান ওই দর্শককে। তবে ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ওয়াকার ইউনুস জানালেন ইনজামাম দর্শক মারতে গিয়েছিলেন অন্য কারণে। ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের স্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিল কেউ একজন। যা সহ্য করতে পারেননি ইনজামাম।
সম্প্রতি ‘গ্রেটেস্ট রাইভালরি পডকাস্ট’ নামে একটি অনুষ্ঠানে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন পাকিস্তানের বর্তমান বোলিং কোচ ওয়াকার।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, কেউ হয়তো তাকে আলু বলে ডেকেছিল। কিন্তু আসলে যেটা ঘটেছিল- দর্শকদের মধ্যে কেউ একজন আজহারউদ্দিনের স্ত্রীকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলছিল। ইনজির সেটা পছন্দ হয়নি। মাঠে হয়তো আমাদের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা ছিল তীব্র। কিন্তু বন্ধুত্বের বেলায় আমরা একে অন্যের পাশে দাঁড়াতাম।’
সাধারণত স্লিপে ফিল্ডিং করা ইনজামাম উগ্র দর্শকদের শায়েস্তা করতে সেদিন ইচ্ছা করেই বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। ওয়াকার বলেন, ‘জানি না আসলে কী ঘটেছিল। আমার মনে হয় অধিনায়ক ছিল সেলিম মালিক (ওই ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন রমিজ রাজা)। সে সেলিম মালিককে বললো ফাইন লেগ থার্ড ম্যান এরিয়ায় ফিল্ডিং করবে। সেখানে যাওয়ার পর ইনজি দ্বাদশ খেলোয়াড়কে ব্যাট আনতে বললো। ব্যাট আনার পরপরই সিঁড়ি বেয়ে ছুটে গেল গ্যালারিতে ওই দর্শককে মারতে।’
দর্শককে মারতে যাওয়ার ঘটনায় দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন ইনজামাম। ব্যাপারটা কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলেন ইনজামাম। ওয়াকার বলেন, ‘কোর্টে শুনানির দিন উপস্থিত ছিলেন আজহারউদ্দিনও। আদালাতের ঝামেলা শেষে ইনজামাম এবং ওই দর্শকের মাঝে মধ্যস্ততাও করে দেন তিনি।’ সবশেষে ওয়াকার বলেন, ‘ওটা ছিল কুৎসিত একটা ঘটনা। কিন্তু আমি বলতে চাইছি ভারত-পাকিস্তান দুই দলেই এমন কিছু ক্রিকেটার ছিল যারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে একে অন্যের পাশে দাঁড়াতো। পারস্পরিক সাহচর্যটা সত্যিই উপভোগ করতো তারা।’