ডিএমপি নিউজঃ তার পুরো নাম শচীন দেববর্মণ। কিন্তু শ্রোতাদের নিকট এস ডি বর্মণ হিসেবেই সমধিক পরিচিত। রাজ পরিবারের সন্তান এস ডি বর্মণ জীবনের পুরোটা সময়ই কেটেছে সঙ্গীতের পেছনে। মা নিরুপমা দেবী ছিলেন মণিপুরি রাজবংশের মেয়ে। তার সঙ্গীতের সূচনা হয় বাবা নবদ্বীপচন্দ্র দেববর্মণের কাছে।
বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী গানের কিংবদন্তী এই ব্যক্তি একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গায়ক ও লোকসঙ্গীত শিল্পী। শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত তার অনুনাসিক কণ্ঠস্বরের জন্য। তার পুত্র রাহুল দেববর্মণও ছিলেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতপরিচালক ও সুরকার। তার ছাত্রী এবং পরবর্তীতে সহধর্মিনী মীরা দেববর্মণ গীতিকার হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
বিখ্যাত এই শিল্পী ১৯০৬ সালের ১লা অক্টোবর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। পরিবর্তীতে জীবনের বহু ধাপ অতিক্রম করে ১৯৪৪ সাল থেকে স্থায়ীভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন মহান এই ব্যক্তি।
একশ বছর পরেও তার গানের জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমে নি। বরং দিনের পরিক্রমায় তার চাহিদা আরও ক্রমবর্ধণশীল। তার জনপ্রিয় কিছু বাংলা গান হল- শোন গো দখিন হাওয়া, তুমি আর নেই সে তুমি, বাঁশি শুনে আর কাজ নেই, তুমি এসেছিল পরশু, বিরহ বড় ভাল লাগে।