আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেনটির উদ্বোধন করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য শেষে বাঁশি ফুঁকে ও সবুজ পতাকা উড়িয়ে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে রংপুর ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের রেকে নতুন কোচ প্রতিস্থাপন করেন তিনি।
কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম সরাসরি ট্রেনটি চালু হওয়ায় যাতায়াতে বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলল এই জেলার মানুষের। ট্রেনটি সপ্তাহের প্রতি বুধবার ছাড়া ছয় দিনই সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে এবং ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে ৬টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি ১৪টি বগি নিয়ে যাতায়াতে রংপুর-বদরগঞ্জ, পার্বতীপুর-জয়পুরহাট, সান্তাহার-নাটোর, মাধনগর-টাঙ্গাইল, মৌচাক-বিমানবন্দর এই ১০টি স্টেশনে যাত্রী ওঠানামায় বিরতি থাকছে। ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকা-কুড়িগ্রামের ২৮৬.৮ মাইল পথ পাড়ি দেবে। কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাত্রাকালে মোট ৬৫৭টি আসন সুবিধা এবং ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাত্রাকালে ৬৩৮টি আসন সুবিধা থাকবে। শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৮০৪ টাকা আসন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে। এ ট্রেন সার্ভিসের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে সদ্য আসা নতুন কোচ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়।
কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান প্রমুখ।