হানিফ সংকেত দেশের বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। আশির দশক থেকে শুরু করে প্রায় দুই যুগ ধরে তিনি বাংলাদেশের জনগণকে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন। একাধারে তিনি উপস্থাপক, পরিচালক, লেখক ও প্রযোজক। এই মিডিয়া ব্যক্তিত্বের জন্মদিন আজ।
২৩ অক্টোবর, ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন হানিফ সংকেত। প্রয়াত ফজলে লোহানীর যদি কিছু মনে না করেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে তিনি প্রথম খ্যাতি লাভ করেন। তবে তিনি কেবল হাস্যরস কে তুলে ধরেন না।
২৫ বছর পার করা ইত্যাদির মাধ্যমে সামাজিক অসঙ্গতি, দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম এবং মানবিকতার পক্ষে তার নির্ভত আন্দোলন চলছেই। ইত্যাদির প্রতিটি পর্বে সমসাময়িক নিন্দিত ঘটনার বর্ণনা ও বিরোধিতা থাকে কিছুটা রম্য হলেও দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে। তাই বিবিসিসহ দেশের প্রতিটি জরিপেই দেখা গেছে, ইত্যাদি দেশের সেরা টিভি অনুষ্ঠান এবং দেশের ৭৫ শতাংশ টিভি দর্শক এই অনুষ্ঠান দেখে থাকে।
নিজের কাজের ব্যাপারে খুব সচেতন এই মানুষটি। দেশের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ‘ইত্যাদি’ নিয়ে প্রতি তিন মাস অন্তর হাজির হন ছোটপর্দায়। খুব বেশি স্ক্রিনিং হলেই যে তারকা বা ব্যক্তিত্ব কেউ হতে পারেন না। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হানিফ সংকেত।
হানিফ সংকেত পরিচালিত নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়’, ‘দুর্ঘটনা’, ‘তোষামোদে খোশ আমোদে’, ‘কিংকর্তব্য’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘শেষে এসে অবশেষে’ উল্লেখযোগ্য।
কাজের সুবাদে সামাজিক কার্যক্রমের জন্য ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে একুশে পদক পুরস্কার পান। পরিবেশ শিক্ষা ও প্রচারের জন্য ২০১৪ সালের জাতীয় পরিবেশ পদক দেয়া হয় তাকে। এছাড়াও তিনি দেশে-বিদেশে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।