চট্টগ্রাম মহানগরীতে আজ (১২ নভেম্বর) মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় সরকারি কার্য ভবন-১ এ আয়কর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন আয়কর বিভাগ চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা। মহানগরীর জিইসি কনভেশন সেন্টারে ওইদিন সকাল ১০টায় সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন মেলা উদ্বোধন করবেন।
সম্মেলনে জানানো হয়, জিইসি কনভেনশন সেন্টারে সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদী করদাতাদের সম্মাননা দেওয়া হবে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে আরো জানানো হয়, চট্টগ্রামের করঅঞ্চল সমূহের অধীনে কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় চারদিনব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও চট্টগ্রামের মিরসরাই, আনোয়ারা, পটিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, রাউজান, হাটহাজারী, বোয়ালখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, রামু ও টেকনাফে একদিনের ভ্রাম্যমাণ আয়কর মেলা ও চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার দুইদিনের আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কর কর্মকর্তা হারুন উর রশিদ, নাজমুল করিম, লুতফর আজিম, মামুনুর রহমান ও মফিজ উল্লাহ।
অঞ্চল-১ এর কমিশনার ও মেলার সমন্বয়ক মো. মোতাহের হোসেন লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, সামাজিক সমতা ও ন্যায্য ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও করমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই মেলার মাধ্যমে কর বিভাগের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ছাড়াও করদানে উৎসাহ সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, এবার মেলায় ৪৫টি বুথ থেকে করদাতারা সেবা নিতে পারবেন। রিটার্ন জমা দেওয়ার পর করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হবে। এছাড়া মেলায় ই-পেমেন্ট সুবিধা থাকবে। প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকবে। মেলা চত্বরে সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের বুথ থাকবে। সেখানে আয়কর জমা দেওয়া যাবে। কর কমিশনার বলেন, ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত আয়কর মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। ২০১০ সালের মেলায় ১৪ হাজার ৩৩০টি আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে। রাজস্ব আদায় হয় ৪০ কোটি ১২ লাখ ২১ হাজার ৮২৪ টাকা। গত বছর মেলায় ৩২ হাজার ৯৮৪টি আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে। এতে আদায় হয় ৫২৯ কোটি ৭০ হাজার ৯৮১ টাকা।বিবি/০১