আজ ১৮ আগস্ট শনিবার আগস্টনাট্যাচার্য ও অধ্যাপক সেলিম আল-দীনের ৬৯তম জন্মজয়ন্তী । বাংলা নাটকের কীর্তিমান এই নাট্যজন স্বরণে রাজধানী ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।
নাট্যাচার্য় সেলিম আল-দীন ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনী জেলার সোনাগাজি থানার সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মফিজউদ্দিন আহমেদ ও মাতা ফিরোজা খাতুনের তৃতীয় সন্তান সেলিম আল-দীন। ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। জাবি ক্যাম্পাসে তাকে সমাহিত করা হয়। তিনি ১৯৬৪ সালে এসএসসি, ১৯৬৬ সালে এইচএসসি এবং টাঙ্গাইল সাদত কলেজ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে নাটক’ অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি লাভ করেন।
ছাত্র জীবন থেকেই তিনি নাটক ও সংস্কৃতিকর্মে জড়িয়ে পড়েন। সেলিম আল-দীন একাধারে নাট্যজন, নাট্য বিষয়ে গবেষক, নাটক রচয়িতা, নির্দেশক ও চলচ্চিত্র সংলাপ লেখক এবং গীতিকার। তার প্রথম নাটক ‘বিপরীত তমসা’ ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান রেডিওতে প্রচারিত হয়। টিভিতে প্রথম নাটক ‘ঘুম নেই’ ১৯৭০ সালে এবং প্রথম মঞ্চনাটক ১৯৭২ সালে ‘সর্প বিষয়ক গল্প’ মঞ্চস্থ হয়। দেশ স্বাধীনের পর থেকে বাংলা নাটকে শিকড় সন্ধানী এবং নাটকের ভাষায় লোকজধারার নাটক লেখা ও মঞ্চায়নে নিজের স্বাতন্ত্রবোধকে উপস্থাপন করতে থাকেন। বাংলা নাটকে একজন অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব হিসেবে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার লেখা নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে,জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন,মূল সমস্যা, প্রাচ্য, কীত্তনখোলা, বাসন, আততায়ী, সয়ফুল মূলক বদিউজ্জামান, কেরামত মঙ্গল, হাত হদাই, যৈবতী কন্যার মন, মুনতাসীর ফ্যান্টাসি ও চাকা। চিত্রনাট্য রচনা ও সম্পাদনা করেছেন চাকা, কীত্তনখোলা, কালু মাঝি ও একাত্তরের যিশু চলচ্চিত্রের।
তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে বাংলা নাটক, সেলিম আল-দীনের রচনা সমগ্র (সম্পাদনা সাইমন জাকারিয়া)। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নাটক ও সংস্কৃতি বিষয়ে লিখেন। নাট্যাচার্য সেলিম আল-দীন বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, একুশের পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসক অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন।
নাট্যজন সেলিম আল-দীন স্বরণে ঢাকা থিয়েটার দু’দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।