আজ পঞ্চমী৷ পঞ্জিকা মতে এবার পঞ্চমী থেকেই দেবী বরণের পর্ব শুরু৷ দেশের সর্বত্র এই ছবি ধরা পড়ছে৷ শারদোৎসবে বাংলা মুখরিত৷
ঢাকে কাঠি-কাশের দোলায় মেতে দেবীর অকাল বোধন এবার আক্ষরিক অর্থেই অকালে হচ্ছে৷ পঞ্জিকা মতে পুজো এগিয়ে আসায় শরতের সুবাস এখনো তেমন লাগেনি৷ তবুও শারদোৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালি৷ বিশ্বজনীন এই আবহ৷
শুধু রাজধানীতেই নয়, মফঃস্বলেও দ্বিতীয়, তৃতীয়া থেকেই পুজো উদ্বোধনের হিড়িক৷ মহানগরের ঢাকেশ্বরীই হোক বা রামকৃষ্ণ মঠ সর্বত্রই উৎসবের মেজাজ৷ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসবকে কেন্দ্র করে পঞ্চমী থেকেই উৎসবের আমেজ।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার (পূজা আরম্ভ সকাল ৭টা ৩০ মিনিট এবং পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন সকাল ৯টা ৩১ মিনিটের মধ্যে) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনের এ উৎসবের। এর আগে আজ সায়ংকালে দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামীকাল সকালে ৬টা ৩০ মিনিটে কল্পারম্ভ এবং বিকাল ৪টায় বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হবে। এদিন সকাল থেকে চন্ডিপাঠে মুখরিত থাকবে সকল মন্ডপ এলাকা। ২৭ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ২৮ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা, ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমী বিহিত পূজা এবং বিজয়া দশমী ও দর্পণ বিসর্জন।
সনাতন বিশ্বাস ও বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় এবার দেবীর আগমন নৌকায় চড়ে এবং বিদায় নেবেন ঘোড়ায় চড়ে।
সারাদেশে এবার পূজোর সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৭টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৩৯৫ টি। গতবারের চেয়েও বেশি ৬৮২টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় এবার পূজা হচ্ছে ২৩১টি, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২২৯। সবচাইতে বেশি পূজা হচ্ছে চট্টগ্রামে, ১হাজার ৭শ ৬৭টি।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এর আগে মহালয়ায়ার একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গত বছরের মত এবারও সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার থাকবে।
আরো পড়ুন- দুর্গা পূজাকে ঘিরে সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছেঃ ডিএমপি কমিশনার