‘বে অব বেঙ্গল মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৮টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর পথে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল এবং নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশরাফি বিনতে শামস।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হবে হোটেল সোয়ালটি ক্রাউনি প্লাজায়। এই সফরে সেখানেই থাকবেন তিনি।
নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হচ্ছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ ধরনের বৈঠকের সময় শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত হয়। বৈঠকটি আজ বৃহস্পতিবার রাতে বা আগামীকাল শুক্রবার সকালে হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের যে উষ্ণতা তাতে আলাদা তেমন কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে না। শীর্ষ নেতারা তাঁদের অগ্রাধিকারমূলক ও অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের বৈঠকে অন্যান্য ইস্যুর মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
এদিকে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গতকাল বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এবারের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বিদ্যুৎ গ্রিড সংযোগ স্থাপন বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে। বিমসটেকের সদস্য দেশগুলো এরই মধ্যে এই এমওইউর খসড়া অনুমোদন করেছে।
কাঠমাণ্ডু থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গতকাল কাঠমাণ্ডুতে বৈঠকে শীর্ষ সম্মেলনের এজেন্ডা এবং বিদ্যুৎ গ্রিড সংযোগ স্থাপনবিষয়ক এমওইউ সই করার সুপারিশ চূড়ান্ত করেছেন।
আগামীকাল শুক্রবার শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে এমওইউটি সই হওয়ার কথা রয়েছে। স্বাগতিক দেশ নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গতকালের বৈঠকে বিমসটেকের অন্য ছয় সদস্য বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিমসটেককে গতিশীল সংস্থায় রূপ দিতে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আরো বলেছেন, বিমসটেক একটি অর্থনৈতিক ও কারিগরি ফোরাম। এখানে রাজনৈতিক ইস্যু ওঠে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে শাহরিয়ার আলম বলেন, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি বিমসটেকে যাননি। মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমসটেক ‘রিট্রিট সেশনে’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হতে পারে। কেউ যদি এ বিষয়টি তোলে তবে বাংলাদেশ এ নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমসটেক সম্মেলন শেষে আগামীকাল শুক্রবার রাতে ঢাকায় ফিরবেন বলে জানা গেছে।