আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিশ্ব জলাতঙ্ক বা র্যাবিস দিবস। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ২২টি দেশ বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এ উপলক্ষে আজ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক: মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলাতংক রোগে সাধারণত ১৫ বছরের নিচে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। এ রোগে ৯০ ভাগই আক্রান্ত হয় কুকুরের কামড়ে। তাছাড়াও বিড়াল, শেয়াল, বেঁজি ও বানরের কামড়েও এ রোগ হয়ে থাকে। আক্রান্ত কুকুর, বিড়াল, শিয়াল ও অন্যান্য বন্য প্রাণীর লালায় এ রোগের ভাইরাস থাকে। এসব প্রাণীর কামড়ে ভাইরাসটি ক্ষতস্থান থেকে মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয় এবং এতে স্নায়ুতন্ত্রের নানা রকম জটিল উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে রোগী পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে শ্বাস ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। তবে আশার কথা হলো সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে জলাতংক শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। এজন্য জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
জানা গেছে, সারা বিশ্বে প্রতিবছর ৫৯ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায়। বিখ্যাত ফরাসি অণুজীব বিদ লুইপাস্তুর ১৮৮৫ সালে সর্বপ্রথম জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার করেছিলেন, যার মাধ্যমে রোগটি শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই অসামান্য অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর র্যাবিস কন্ট্রোল নামক সংস্থা কর্তৃক তার মৃত্যু দিবস ২৮ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, সরকার দেশে জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে।
তিনি বলেন, জলাতঙ্ক মুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যেও আমরা নিরলসভাবে কাজ করছে। তথ্য সূত্র: অনলাইন।