আজ ৩১ মে, বুধবার, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘তামাক উন্নয়নের অন্তরায়’। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট রোগ, আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি সম্পর্কে জনসচেতনতার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার লক্ষ্যেই প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বলেছেন, তামাকের ব্যবহার হ্রাস করতে পারলে জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রয়োজন একটি সুস্থ-সবল জনগোষ্ঠী। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে এবং এতে সৃষ্ট রোগের কারণে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা দেশের উন্নয়নে লাগানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
তামাক ব্যবহারজনিত ব্যাপক মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম অন্তরায়।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারকারী পরিবারগুলোর মাসিক খরচের পাঁচ শতাংশ তামাক ব্যবহারে এবং ১০ শতাংশ তামাক ব্যবহারজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয়। তামাকজনিত কারণে মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব ছাড়াও আরও ৬৫২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়।