পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার সমতল ও সুন্দরবনকে লক্ষ্য করে প্রায় আটটি পথ ধরে পাখিরা এখানে আসে। দেশের হাওর এলাকা ও বিস্তৃত সুন্দরবন এলাকা পরিযায়ী পাখিদের অন্যতম আকর্ষণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. নূর জাহান সরকার জানান, এ সময়ে পাখি আসতে শুরু করে, তবে এবার আবহাওয়া এখনো গরম অনুভূত হচ্ছে। তাই আরো পরে আসবে পরিযায়ী পাখিরা।
তবে নদী পানি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপচিালক ম. ইনামুল হক বলেন, বৈশাখ থেকে চৈত্র বাংলার পঞ্জিকাকে ঘিরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ছয় ঋতুর জলবায়ু বিদ্যমান। বর্তমান বাংলা পঞ্জিকায় কার্তিক মাস থেকে যে হেমন্তকালের সূচনা। এ সময় থেকেই শীতের পাখি তথা অতিথি পাখিরা এখানে আসা শুরু করে। তিনি বলেন, আমরা চাই তারা এখনই আসুক। আমরা তাদের বিচরণক্ষেত্র ফিরিয়ে দিতে চাই। হেমন্তের শুরুতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পরিযায়ী পাখি ও পরিবেশসংক্রান্ত বিশ্বের নানা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে ১৮ অক্টোবর এ দিবসটি নির্দিষ্ট করেছি। এ দিনটি ঐতিহ্যবাহী বাংলা পঞ্জিকায় ১ কার্তিক, বাংলাদেশে বাংলা পঞ্জিকায় ৩ কার্তিক। আমরা এ দিনটি পালনের ব্যাপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মনিপুরের পরিবেশবাদীদের সমর্থন পেয়েছি বলে ইনামুল হক নয়া দিগন্তকে জানান। তিনি জানান, হেমন্তের শুরুতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষে। পশ্চিমবঙ্গ ও মনিপুর এ দিবসটি পালন করে আসছে কয়েক বছর ধরে।