আকাশে অশনি সংকেত। ধেয়ে আসছে বুলবুল। দুর্যোগ ঠেকাতে আগে থেকেই আটঘাঁট বেঁধেছে প্রশাসন। তৈরি কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
শনিবার মধ্যরাতে ভারত-বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে বুলবুল। দুর্যোগ মোকাবিলায় শুক্রবার থেকেই সতর্ক করা হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। চলছে মাইকিং। জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় দ্রুত মত্স্যজীবীদের ঘরে ফেরানো হচ্ছে। বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ৯ ও কক্সবাজার ৪ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রে ৭৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
শনিবার সকালে এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যা নাগদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আজ ভোর থেকে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।