মিশরে ২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিচারাধীন প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুরসির ‘আকস্মিক মৃত্যু’ হয়েছে। সোমবার রাতে কায়রোতে আদালতকক্ষে একটি মামলার বিচার চলার সময় সংজ্ঞা হারানোর পর তিনি মারা যান। মুরসির বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ তথ্য জানায়।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মোরসি তার বিরুদ্ধে আনা এক গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় হাজিরা দিচ্ছিলেন। ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে সন্দেহজনক যোগাযোগ রাখার অভিযোগ এনে ওই মামলা করা হয়েছিল। ‘আদালতের এজলাসে হঠাৎ পড়ে গিয়ে’ তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এদিকে মিশরের সংবাদপত্র আল-আহরামের বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট আই তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ৬৭ বছর বয়সী মোরসি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর তাকে একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
গত বছরের মার্চ মাসে ব্রিটিশ রাজনীতিক ও আইনজীবীদের একটি প্যানেল জানায়, কারাগারে মোরসি শারীরিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়, এমনকি এর ফলে তার মৃত্যুও হতে পারে।
মিশরের ‘আরব বসন্ত’ নামে খ্যাত সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর ২০১২ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল তার মাধ্যমে মোহাম্মদ মোরসি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা এবং মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু এক বছর পরই তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয় এবং সেনাবাহিনী মোরসিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে। তখন থেকেই তিনি কারাবন্দী আছেন।