চীন সরকার জি টু জি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় প্রায় ৭৮৩ একর জমিতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপন করবে। চাইনিজ ইকোনমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন নামের এই এসইজেডে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি চাইনিজ বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসইজেড স্থাপনের লক্ষ্যে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে শেয়ারহোল্ডার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এবং চায়না হারবারের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন চোয়ান সোং নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে শেয়ারহোল্ডার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বাস্তবায়নের মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্সউপস্থিত ছিলেন।
চীনা এই এসইজেডে ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, রাসায়নিক, ইলেকট্রনিক্স, মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট,প্লাস্টিক ও আইটি পণ্যের শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, চাইনিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশে কোরিয়ান ইপিজেড ও কাফকো অবস্থিত।কর্ণফুলি টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে দূরত্ব হবে মাত্র ৩ কিলোমিটার।চীন সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে ডেভেলপার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবেশের জন্য পৃথক ২টি সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ১১ জুন চীন সফরের সময় সেদেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় প্রায় ৭৮৩ একর জমিতে (৯ একর রাস্তাসহ) অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে গতবছরের ১৬ জুন বেজা ও চায়ানা হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ শেয়ারহোল্ডার চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।