রাশিয়া নির্মাণ করছে নতুন প্রজন্মের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)। এ ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও গুঁড়িয়ে দিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া দাবি করেছে, নতুন প্রজন্মের এ ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা হবে ১১ হাজার কিলোমিটার। এছাড়া একই সঙ্গে ১৫টি পর্যন্ত পরমাণু ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম এটি। এর গতিবেগ আগের সব ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করা হয়েছে।
রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট এ খবর দিয়েছে। স্পুটনিক জানায়, ১০০ টনেরও বেশি ওজনের এ আইসিবিএম যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের আকারের এলাকা ধ্বংস করতে পারবে। এটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, বহু ওয়ারহেড সম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ভেঙে ফেলতে পারবে।
এর আগে গত মাসে রাশিয়া নতুন প্রজন্মের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম আরএস-২৪ ইয়ারসের সফল পরীক্ষা চালায়। এটিও প্লেসতস্ক কমসোড্রমের ভূগর্ভস্থ কেন্দ্র থেকে এ পরীক্ষা চালানো হয়। ৬ হাজার কিলোমিটার দূরের কামচাটকার কুরা পরীক্ষা কেন্দ্রের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে এটি। মিসাইল প্রযুক্তিতে আমেরিকা বা ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে রাশিয়া অনেক এগিয়ে। তাদের বহরে রয়েছে আর-৩৬, ট্রিপল এমের মতো অত্যাধুনিক আইসিবিএম। এবার রাশিয়া পরীক্ষা করতে যাচ্ছে নতুন আইসিবিএম সারমাত বা আরএস-২৮।
২০০৯ সালে সারমাত তৈরির কাজ শুরু হয়। মূলত ৩৫ বছরের পুরনো আর-৩৬গুলোকে রিপ্লেস করার জন্য সারমাত তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ২০১৮ সালের দিকে সারমাতকে কার্যকর করা হবে। প্রাথমিকভাবে পূর্ব সাইবেরিয়া ও দক্ষিণের উড়াল অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে এটি। আরআইএ আরও বলেছে, জ্বালানি ও উৎক্ষেপণ রকেট বাদে ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ৫ টনের মতো। তবে এ ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।