মাত্র ২১ বছর বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এরপরই জানান দেন নিজের ক্রিকেট প্রতিভার কথা। দেশটির হয়ে দুটি টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। দুই বিশ্বকাপেই রেখেছেন দারুণ অবদান। তবে বোর্ডের সঙ্গে বেশ ক’বার দ্বন্দ্বে সর্বশেষ দুই বছর জাতীয় দলের জার্সিতে নামেননি তিনি। জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ মাঠে নেমেছেন ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ ম্যাচে। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন চার বছর আগে। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই দারুণ কার্যকর বলে নিজেকে প্রমাণ করেন ব্রাভো। কিন্তু যত দিন গেছে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটার হিসেবে নিজের পরিচয় জোরালো করেছেন।
তার খেলা ২৭০ আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে ওয়ানডে খেলেছেন ১৬৪টি, টি২০ খেলেছেন ৬৬টি। আর টেস্ট ক্যাপ পরেছেন মোটে ৪০ ম্যাচে। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। তবে টি২০ ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগের চাহিদায় ওপরের দিকে থাকা এই তারকা মাঠ থেকে অবসর নিতে পারলেন না।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে বুধবার ব্রাভো জানান, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব সংস্করণ থেকে অবসর নিচ্ছি। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার পর খেলাটির প্রতি যেমন টানছিল এখনই তায়ই আছে। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যত দিন সম্ভব খেলে যেতে চাই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে চাই।’
জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও টি২০ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলবেন ব্রাভো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সময় ব্রাভো ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেককে ধন্যবাদ জানান। তার পরিবার, ভক্তদের ধন্যবাদ জানান। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পেরে সম্মানিত মনে করেন বলেও জানান তিনি।