আফগানদের হারিয়ে সেমির লড়াইয়ে টিকে রইল টাইগাররা। গতকাল সাকিবময় ম্যাচে নবীদের ৬২ রানে হারায় বাংলাদেশ। ৫ উইকেট ছাড়াও ৫১ রান করে ম্যাচ জয়ের নায়ক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরই সাথে বিশ্বকাপে সাকিবের পঞ্চম পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলে আবারও উঠে এলেন রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে। মোট রান এখন ৪৭৬*।
সাকিবের ৫১ রানের ইনিংসে পূর্ণ হয়েছে বিশ্বকাপে তার ১ হাজার রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে অল-রাউন্ডার হিসেবে ১ হাজার রানের পাশাপাশি ৩০ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন।
ম্যাশ বাহিনী এই ম্যাচে হারলে বড় বিপদে পড়তে হতো সেমি-ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে। এমন সমীকরণে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না টাইগারদের। দুর্দশায় শুরু হওয়া ইনিংস শেষ হয় সাকিব-মুশফিকের জোড়া অর্ধ শতকে। সাকিব আল হাসান করেন ৬৯ বলে ৫১ আর মুশফিক খেলেন ৮৭ বলে ৮৩ রানের ইনিংস। শেষ দিকে মোসাদ্দেক করেন ২৪ বলে ৩৫ রান।
৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬২ রান। টাইগারদের দেয়া ২৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে আফগানরা। দুই ওপেনার গুলবাদীন নাঈব আর রহমত শা গড়েন ৪৯ রানের জুটি।
১০ ওভার শেষ, সাকিব তখনও আসেননি বোলিংয়ে। যেই না আসলেন, তুলে নিলেন উইকেট। নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে রহমতকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরান সাকিব। এর পরেরটা ইতিহাস। সাকিবের টপাটপ উইকেট, দিশেহারা করে দেয় আফগানিস্তানকে। করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
১০ ওভারে ১ মেডেন সন মাত্র ২৯ রানে তুলে নিলেন ৫ উইকেট! যা একদিনের ক্রিকেটে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
শেষ পর্যন্ত ৪৭ ওভারেই ২০০ রানেই শেষ ১০ উইকেট । বাকি ৬২ রান আর করা হলো না তাদের। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪৮ রানে হারের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে আবারও বেঁচে রইলো সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্ন।
সাকিব আল হাসান নেন ২৯ রানে ৫ উইকেট। ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান আর ১টি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক।