যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। তবে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে কখনও আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলেনি টাইগাররা। ২০১৮ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগামীকাল প্রথমবারের মত টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামছে নবরূপের এক বাংলাদেশ। নতুন প্রধান কোচ দক্ষিণ আফ্রিকা রাসেল ডোমিঙ্গোর অধীনে নতুনভাবে পথচলা শুরু হচ্ছে টাইগারদের। শুধুমাত্র প্রধান কোচই নয়, পেস ও স্পিন বোলিং কোচেও পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। তাই নতুন রুপে টেস্ট দিয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের এই সফরের একমাত্র টেস্টটি।
বাংলাদেশের অভিষেকের ১৮ বছর পর টেস্ট মর্যাদা পায় আফগানিস্তান। ২০১৮ সালে টেস্ট মর্যাদা অর্জনের পর মাত্র ২টি টেস্ট খেলেছে আফগানরা। গেল বছরের জুনে ব্যাঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয় আফগানিস্তানের। ঐ টেস্টে ইনিংস ও ২৬২ রানে হারে আফগানিস্তান। এরপর চলতি বছর মার্চে দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই জয়ের মুখ দেখে আফগানরা। ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।
অবশ্য অভিজ্ঞতা, পরিসংখ্যান কোনটির উপরই নির্ভরশীল নয় আফগানিস্তান। বাংলাদেশের মত প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে তারা। কারন সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর শ্রীলংকার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে দাগ কেটে রেখেছে। এমনকি সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি সন্ত্রাসী হামলায় পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
তবে এসব তথ্য নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইবে না নতুন বাংলাদেশ দল। কোচিং প্যানেলে নতুনদের আগমন বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যাবে, সেটিরই অপেক্ষা। এছাড়া বিশ্বকাপের মঞ্চে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা সাকিবের অর্ন্তভূক্তিতে চাঙ্গা এখন বাংলাদেশ দল।
তাই তো নতুন বাংলাদেশের শুরুটা জয় দিয়ে করতে চান ডোমিঙ্গো, ‘কেউ হারের জন্য খেলতে নামে না। জয় দিয়ে শুরু করতে পারলে দারুন হবে। বাংলাদেশের হয়ে এটি আমার প্রথম টেস্ট ম্যাচ। আমি দেখতে চাই প্রথম ম্যাচে দল কেমন পারফর্ম করে।’
বাংলাদেশ দল (সম্ভাব্য): সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম, মোমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিথুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাইম হাসান, আবু জায়েদ রাহি, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন।
আফগানিস্তান দল (সম্ভাব্য): রশিদ খান (অধিনায়ক), আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবী, ইহসানউল্লাহ জানাত, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি, ইকরাম আলি খিল, জহির খান, জাভেদ আহমাদি, আহমেদ শিরজাদ, ইয়ামিন আহমাদজাই, আফসার জাজাই, শাপুর জাদরান এবং কাইস আহমেদ।