আফগানিস্তানের ১৮ বছর ধরে চলা যুদ্ধ পরিস্থিতি শেষ করতে তালিবানের সঙ্গে বৈঠক করলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করার পরে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন একাধিক দেশ জড়িয়ে পড়েছে সেখানে। সামরিক উপায়ে সেখানে কোনও সমাধান নেই বুঝে এখন শান্তি আলোচনায় বসেছে আমেরিকা।
“চীন, রাশিয়া এবং আমেরিকা মনে করছে পাকিস্তান আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর ব্যাপারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে,” মার্কিন বিদেশ মন্ত্রীর তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
ইসলামাবাদের মতে, পাকিস্তানের মতো একটি দেশে যেখানে এক বড় সংখ্যক মানুষের বাস, তাকে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়াতে অন্তর্ভুক্ত করা অবশ্যই প্রয়োজন এবং আফগানিস্তানের বিষয়ে বিশ্বের বড় শক্তিগুলির পক্ষে পাকিস্তানের স্বার্থকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
আফগানিস্তানের তালিবানদের কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পিছনে ইসলামাবাদের ভূমিকা মেনে নিয়েছে ওয়াশিংটনের কর্তারাও। উচ্চপদস্থ মার্কিন কূটনীতিবিদ এবং সামরিক কর্তারা প্রকাশ্যে আমেরিকা-তালিবান আলোচনার প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনকে স্বীকার করে ইসলামাবাদের প্রতি ওই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে উদ্যোগী হওয়ার আবেদনও করেছেন।
গত ১০ এবং ১১ জুলাই চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার উপরে বৈঠক করেন।