সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৮৩ জন আরোহী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির একজন কর্মকর্তা।
বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটিতে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে হতাহতের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
রুশ সম্প্রচার মাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাজধানী কাবুল থেকে হেরাতের উদ্দেশে রওনা করার জন্য উড্ডয়নের পর দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় গজনি প্রদেশের দেহ ইয়ান নামক জেলার একটি পাহাড়ের ওপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটির মালিকানা আরিয়ানা আফগান নামক একটি সরকারি বিমান পরিবহন কোম্পানির।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মিররের খবরে জানানো হয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এখনো ঘটনাস্থলের সর্বশেষ অবস্থা জানা যায়নি। কতজন হতাহত হয়েছেন তাও নিশ্চিত হতে পারেনি কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সরকারি কর্মকর্তারা। তবে সোমবারের ওই বিমান দুর্ঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওই বিমানটি কাবুল থেকে হেরাতের উদ্দেশে উড্ডয়নের পর স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১টায় রাজধানী থেকে দক্ষিণ-উত্তরের একটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালেবান সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রথমে ওই বিমানটি আরিয়ানা এয়ারলাইন্সের বলে জানিয়েছিলেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। কিন্তু বিমান সংস্থাটি ওই খবর নাকচ করে দিয়েছে জানিয়েছে, তাদের সবগুলো বিমানই যথাযথভাবে গন্তব্যে পৌঁছেছে।
এরপরে আফগানিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, কোন বেসামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়নি।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, তাদের বাহিনী বিমানটির অবস্থান খুঁজে বের করতে পারেনি।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ বা হতাহতদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। বিবিসি বাংলা।